রাখিবন্ধনের দিনেই হাতকড়া! অনুব্রতর গ্রেফতারিতে তীব্র কটাক্ষ দিলীপ-সহ বিরোধীদের

বিরোধী বিভিন্ন দলের অধিকাংশ নেতানেত্রীরই বক্তব্য হল, অনেক আগেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল

একবার নয়, দু’বার নয়, পর পর ন’বার ৷ সিবিআই (CBI)-এর একের পর এক তলব এড়িয়ে অবশেষে সেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (Central Bureau of Investigation)-এর জালেই ধরা পড়তে হল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ৷সিবিআই-এর পদক্ষেপে খুশি রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির ৷ যদিও বিরোধী বিভিন্ন দলের অধিকাংশ নেতানেত্রীরই বক্তব্য হল, অনেক আগেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল৷ অনুব্রত মণ্ডলের খেলা শেষ, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষ সহ বিরোধীদের।

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ রাখির দিনেই হাতকড়া। এই ধরনের নেতারা বাংলা সমাজকে কলুষিত করছে। এই ধরনের নেতারা যেন মোটেই জেলের বাইরে না থাকে।’ একই সঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসায় অনুব্রত মণ্ডলের বড় হাত রয়েছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ।

সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) থেকে শুরু করে একই সুর শোনা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গলাতেও ৷বিকাশরঞ্জনের বক্তব্য হল, অনেক আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল (CPIM-Congress slams Anubrata)৷ সিবিআই দীর্ঘদিন ধরে গরুপাচার কাণ্ডের (West Bengal Cattle Smuggling Case) তদন্ত করছে ৷ অথচ, অন্যতম প্রধান অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না ৷ এতে তদন্তকারী সংস্থা তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে ৷ তাই এই গ্রেফতারি জরুরি ছিল বলেও মনে করেন পেশায় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য৷

কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী বলেন, “বাংলার মানুষ অনেক কেষ্টলীলা দেখেছে ৷ আর দেখতে চায় না ৷ এ বার এসব বন্ধ হওয়া দরকার ৷ অনুব্রত মণ্ডলের মতো মানুষ, যারা অন্যায় করেন, তাদের কপালে এসবই জোটে ৷ এদের কখনওই জেলের বাইরে রাখা উচিত নয় ৷ এতে সমাজ কলুষিত হয় ৷ এদের তাই ভিতরেই (জেলবন্দি) রাখা উচিত ৷ তাতে এদেরও ভালো ৷ বাকি সকলেরও ভালো ৷

 

Previous articleআদালতে অসুস্থতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেও রেহাই নেই, ২০ আগস্ট পর্যন্ত CBI হেফাজত অনুব্রতর
Next articleEntertainment: ৪ বছর পর ফিরল ব্যোমকেশ, জমজমাট হত্যামঞ্চের রহস্য