টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে বিজেপি,বর্ধমানে মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতা

মানুষ নিজের শিরদাঁড়া কোনও অর্থের কাছে বিক্রি করে না। কার্যত মোদির প্রতিশ্রুতি যে কতটা ভুয়ো, এদিন সেকথাও তুলে ধরেন মমতা

বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে সোমবার প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে সভা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা হল বর্ধমান উত্তর বিধানসভা এলাকায়। এখানেও বিজেপিকে তুলোধনা করলেন মমতা। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন।নেত্রী অভিযোগ করেন, টাকা দিয়ে বঙ্গে ভোট কিনতে চাইছে বিজেপি। তিনি বলেন, একটা ভিডিও দেখলাম। বলছে ভোটের আগে আসিস টাকা দিয়ে দেব। কোটি কোটি টাকা চুরি করেছে, দিচ্ছে মাত্র ৫০০ টাকা। ওই টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না।ভোটের আগে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিজেপি বাংলায় বহিরাগতদের নিয়ে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বললেন,যাঁরা ভাবছেন অর্থ দিয়ে ভোট কিনে নেবেন, তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। মানুষ নিজের শিরদাঁড়া কোনও অর্থের কাছে বিক্রি করে না। কার্যত মোদির প্রতিশ্রুতি যে কতটা ভুয়ো, এদিন সেকথাও তুলে ধরেন মমতা।

নেত্রী বলেন, ইডির বাজেয়াপ্ত করা তিন হাজার কোটি টাকা মানুষকে ফেরত দেবেন বলেছেন মোদি। অথচ আবাসের টাকা পাঁচ বছর ধরে আটকে রেখেছে। গরীব মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার নাম করছে না। আমরা ২ কোটিরও বেশি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দিচ্ছি। এখন সেটা দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। ৮হাজার কোটির বিমানে চেপে বিদেশ যায়। আর ভোট আসলে ঘুরে বেড়ায়। এতদিন বলছিল ওরা এলে লক্ষ্মীর ভান্ডারে ৩ হাজার করে দেবে। যেই হাওয়া বুঝে গিয়েছে, এখন সুর বদল করে বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেবে। জেনে রাখুন তৃণমূল যতদিন থাকবে, ততদিন লক্ষ্মীর ভান্ডারও থাকবে। দম থাকলে বন্ধ করে দেখাক দেখি।

জনসভায় মমতা বলেন, বাংলা একমাত্র রাজ্য, যাঁরা পেনশন দেয়, আর কোনও রাজ্য দেয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারে কোনও পেনশন নেই। সব তুলে দিয়েছে। বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্য়ে পেনশন নেই। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে আমরা পেনশন দিই। তাই অবসর নেওয়ার পর লোকে নিশ্চিন্তে থাকে। বিজেপি টাকা দিলে কী হবে! নির্বাচনের সময় যদি ভোট নেওয়ার জন্য় টাকা দেয়, প্য়াকেটটা পকেটে রেখে দেবেন। আর ভোটে উল্টে দেবেন। টাকা দিয়ে ভোট কেনা, নজর আমরাও রাখব। বাংলার চাকরি বাতিলের সঙ্গে মমতা জুড়ে দিলেন ব্যাপম কেলেঙ্কারিকে। হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, ‘২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি খেয়েছে। যদি কেউ ভুল করে সুযোগ দাও। মধ্যপ্রদেশের ব্য়াপম যারা তদন্ত করতে গেছিল, সবাইকে মেরে ফেলেছে। ‘

বাংলার চাকরি বাতিলের সঙ্গে মমতা জুড়ে দিলেন ব্যাপম কেলেঙ্কারিকে। হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, ‘২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি খেয়েছে। যদি কেউ ভুল করে সুযোগ দাও। মধ্যপ্রদেশের ব্য়াপম যারা তদন্ত করতে গেছিল, সবাইকে মেরে ফেলেছে। ‘এদিন মোদি-শাহর নাম না করে তাঁদের মধুবাবু-বিধুবাবু বলে কটাক্ষ করেন মমতা। সেই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরকে ‘আলিবাবা আর তার ৪০ চোর’ বলে খোঁচা দেন তিনি। বলেন, ক্য়ায়া শরম কা বাত। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। ৩ বছর টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। পাল্টে দিন, বদলে দিন। যা কথা দিতে পারব না, আমি তা বলি না। দিল্লিতে সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। বিনা পয়সায় চাল দিচ্ছে মোদি, চাল দিচ্ছ না কাঁকড়। ভেবেছিল রেশন বন্ধ করে দেবে। আমরা ওদের ভোট বন্ধ করে দেব। ভোট আটকে দেব। নিজের ছবি লাগায় সব জায়গায়। চাকরি তো দেয়নি বেকার বাড়িয়েছে। এদিন মমতা বলেন, সন্দেশখালির মা বোনেদের প্ল্য়ান করে অসম্মান করেছে। মেয়েদের কাছে টাকার চেয়ে শাড়ির আঁচল অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সম্মান গুরুত্বপূর্ণ। বেশি চক্রান্ত করো না। সব কিছু পরিকল্পনা করেছে।




 

Previous articleআজই তিলোত্তমায় স্বস্তির বারিধারা! কালবৈশাখীর সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
Next articleরাজসাক্ষী হলেই মুক্ত! বিজেপির দমননীতির নতুন শরিক নিউজক্লিক