Tamil Nadu: দলিত হওয়ায় চেয়ারে বসার অধিকার নেই, মেঝেতে ঠাঁই পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের

দেশের রাষ্ট্রপতি (President of India) পদে সম্প্রতি নির্বাচিত হয়েছেন দলিত সম্প্রদায়েরই (Dalit Community) একজন মানুষ। অথচ সেই সম্প্রদায়ের মানুষদেরই বর্তমান অবস্থার নিদর্শন দেখে চোখ কপালে উঠেছে দেশবাসীদের। সম্প্রতি তামিনাড়ুর এক পঞ্চায়েত দফতরের খবর সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ৩৮৬ জন দলিত পঞ্চায়েত সভাপতিদের মধ্যে এমন ২২ জন রয়েছেন যাঁদের অফিসে বসার জন্য কোনও আসনই নেই। পাশাপাশি তাঁদের স্বাধীনতা (Independence Day) বা প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনের অধিকারটুকুও নেই।

জানা গিয়েছে, ২২ পঞ্চায়েত সভাপতিদের সমস্ত কাজকর্ম দফতরের মেঝেতে বসেই করতে হয়। তবে তামিলনাড়ুর মতো এমন প্রগতিশীল রাজ্যেও ‘দলিত’দের করুণ অবস্থা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার জোগাড় দেশবাসীর। সম্প্রতি তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ফ্রন্ট রাজ্যের ২৪টি জেলায় একটি সমীক্ষা চালায়। আর সেই সমীক্ষা থেকেই উঠে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরগুলিতে যেখানে পঞ্চায়েত সভাপতিরা মেঝেতে বসে কাজ করেন সেখানেই আরাম কেদারায় বসে তাঁদের উপর ছড়ি চালান উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এছাড়া পঞ্চায়েত অফিসের বোর্ডেও অন্যান্য আধিকারিকদের মত তাঁদের নাম জায়গা পায় না। জানা যাচ্ছে দলিত সভাপতিদের কেউ যদি কাউন্সিল মিটিংয়ে যোগ দেন সে কথা জানার পরই অন্যরা বৈঠকে আসেনও না পর্যন্ত।

১৯৪৭ সালে যে অস্পৃশ্যতামুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখা হয়েছিল, একশো বছর পরেও সেই একই তিমিরে দাঁড়িয়ে দেশ। দলিতদের প্রতি হিংসা, অসম্মান, অস্পৃশ্যতা যদি এমন হারেই বেড়েই চলে তবে এই স্বাধীনতার মর্ম কী? ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আগে তামিলনাড়ুর এই ছবি যেন সেই ছবিই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

আরও পড়ুন- ক্যান্সার বিতর্কে বিশ্বজুড়ে বন্ধ জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডার

Previous articleক্যান্সার বিতর্কে বিশ্বজুড়ে বন্ধ জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডার
Next article৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক, হতাশ কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি