দলীয় নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য, ধৈর্য ধরে সংযত থাকার বার্তা ফিরহাদের

গরুপাচার মামলায় বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Moondal)। তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রথম সারির দুই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে ইতিমধ্যে পথে নেমেছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। বিরোধীদের এই কটাক্ষকে ‘অসভ্যতা’ আখ্যা দিয়ে দলীয় কর্মীদের মুখ বন্ধ রাখার আর্জি জানালেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ফিরহাদ দলের কর্মী সমর্থকদের বলেন, “ধৈর্য হারাবেন না”।

শনিবার দুপুরে কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে ফিরহাদ জানান, “আমার বিরোধী বন্ধুরা অসভ্যতা করেছেন। আমাদের প্রত্যেকেরই একটা সামাজিক সম্মান আছে। সেই সম্মানটা মানুষের কাছে হরণ করে দেওয়ার অধিকার আমার ভারতের কনস্টিটিউশনও (Indian Constitution) দেয়নি। মানুষ ঠিক করবে কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল।“

অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর যেভাবে রাজ্য জুড়ে বিজেপি, সিপিএম-সহ বিরোধীরা ঢাক, গুড়-বাতাসা, নকুলদানা নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের একাংশের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিরোধীদের কটাক্ষের জবাব তাঁরাও কড়া ভাষায় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে বীরভূম সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের কিছু বেফাঁস মন্তব্য সামনে এসেছে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অরূপ মিদ্যা, বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য, দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা পীযূষ পাণ্ডে, ইলামবাজারের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দুলাল রায় ও চুঁচুড়ার বিধায়ক অসীম মজুমদারদের গলায় বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার বার্তা প্রকাশ্যে এসেছে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে ফিরহাদ হাকিম জানান, বিরোধীদের এমন কাণ্ডকারখানায় দলীয় নেতা-কর্মীরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন। এরপরই দলীয় কর্মীদের তিনি আবেদন করে বলেন, “যাঁদের ধৈর্য কম আমার মত অসীম ধৈর্য নেই, তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ একটু আধটু ভেঙে যায়। কিন্তু তাও আমি বলব দয়া করে এসব কথা বলবেন না।”

তবে এদিন ফিরহাদ মনে করিয়ে দেন, “কোনও দলীয় কর্মী হিংসার পথ ধরলে তা কোনভাবেই দল বরদাস্ত করবে না। তিনি বলেন, ইনটলারেন্স (Intolerance) আমরা কখনই সমর্থন করি না। তবে আমি তো যিশু খ্রিস্টের দলের লোক। একটা গালে চড় মারলে, আরও একটা গাল এগিয়ে দেব।”

আরও পড়ুন- ঋণ আদায়কারী এজেন্টদের জন্য গ্ৰাহককে ফোন করার সময়সীমা বেঁধে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

 

 

Previous articleঋণ আদায়কারী এজেন্টদের জন্য গ্ৰাহককে ফোন করার সময়সীমা বেঁধে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
Next articleকমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়া ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে দেখা করলেন মোদি