‘তিন তালাকের বেঠিক নয় তালাক-এ-হাসান’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court

“তালাক-এ-হাসান(Talaq E Hassan) তিন তালাকের(Triple Talaq) মত নয়। এর অনুশীলন অতটাও অনুচিত বা বেঠিক নয়। কারণ এখানে বিকল্প পথ খোলা রয়েছে।” মঙ্গলবার এই প্রথা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনটাই জানালো দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court)।

তালাক-এ-হাসান-এর অনুশীলন বন্ধের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাংবাদিক বেনজির হিনা। মামলাকারী বেনজির হিনার দাবি ছিল, এই প্রথা ইসলাম এবং ভারতীয় সংবিধান, উভয়েরই বিরোধী। এই প্রথা মানবাধিকার লঙ্ঘন করার পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্যকেও প্রশ্রয় দেয়। পিটিশনে এ-ও দাবি করা হয় যে, এই প্রথাটি স্বেচ্ছাচারী এবং সংবিধানের ১৪, ৫১, ২১ এবং ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। যদিও মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল বলেন, “প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখতে হলে তালাক-এ-হাসান অতটাও বেঠিক প্রথা নয়। আমি চাই না, অকারণে এটা নিয়েও অ‌্যাজেন্ডা তৈরি করা হোক।” যদিও শীর্ষ আদালতের এখানে পর্যবেক্ষণে একেবারেই খুশি নন মামলাকারী হিনা। তাঁর দাবি, তিনি নিজেই তালাক-এ-হাসান পদ্ধতির বিচ্ছেদের শিকার হয়েছেন। দেশের সকল নাগরিকের জন্য বিবাহবিচ্ছেদের নিরপেক্ষ এবং অভিন্ন ভিত্তি তৈরির জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ার জন্যও আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, তালাক-এ-হাসান মুসলিম দম্পতিদের মধ্যে বিচ্ছেদের একটি ধরন। এক্ষেত্রে স্বামী, তাঁর স্ত্রীকে প্রতি মাসে এক বার (মোট তিন মাস) ‘তালাক’ দিয়ে বিচ্ছেদের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে পারেন। অন‌্যদিকে স্ত্রীও বিচ্ছেদ ঘোষণা করতে পারেন ‘খুলা’ প্রথার মাধ‌্যমে। এক্ষেত্রে স্ত্রীকে ‘কাজি’র (আদালত) ফরমান মেনে বা স্বামীর সম্মতি-সাপেক্ষে বিয়ের সময় স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া ‘মেহের’ ফিরিয়ে দিতে হয় (পরিস্থিতি সাপেক্ষে অবশ‌্য এরও ব‌্যতিক্রম রয়েছে)। তালাক-ই-হাসানের ক্ষেত্রে তৃতীয় মাসে তালাক উচ্চারণের সময়ও যদি স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকা না শুরু করেন, তাহলেই কেবল মাত্র তা পাকা বিবাহ বিচ্ছেদ হিসেবে গন্য হয়। কিন্তু, প্রথম বা দ্বিতীয় তালাক উচ্চারণের পর, যদি বর বউ ফের একসঙ্গে থাকা শুরু করেন, সেক্ষেত্রে বিচ্ছেদ হয় না।

 

Previous articleঅভিষেকের প্রতিশ্রুতি মতো টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে আজ বৈঠক ব্রাত্যর
Next articleJacqueline Fernandez: ২১৫ কোটি টাকার তছরুপ! বিপাকে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ