জিআরপি থানার লক আপ ভেঙে চম্পট দুই অভিযুক্ত, প্রশ্নের মুখে রেল পুলিশ

আবাদা (Abada Railway Station) স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে একজনকে ঠেলে ফেলে খুনের অভিযোগ রয়েছে দুই বন্দির বিরুদ্ধে।

থানার লক আপ (Lockup) ভেঙে পালাল দুই বন্দি (Convict)। ঘটনায় মুখ পুড়লো রেল পুলিশের (Rail Police)। পলাতক বন্দিদের নাম রাজু হরি ও সমীরুল মোল্লা বলে রেল পুলিশ সূত্রে খবর। সম্প্রতি খুনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করে হাওড়ার শালিমার জিআরপি থানার (GRP) লক আপে রাখে পুলিশ। আবাদা (Abada Railway Station) স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে একজনকে ঠেলে ফেলে খুনের অভিযোগ রয়েছে দুই বন্দির বিরুদ্ধে।

এদিকে রবিবার ভোর রাতে লক আপ ভেঙে বন্দি পালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে শালিমার জিআরপি। বন্দিদের খুঁজে বের করতে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি (Search Operation)। পাশাপাশি ঘটনার পিছনে কাদের হাত রয়েছে তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত (Investigation)। রবিবার ভোরে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন রেল পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও (CCTV Footage)।

তবে লক আপ ভেঙে কীভাবে বন্দিরা পালাল তা নিয়ে সব মহল থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শালিমার জিআরপি থানায় কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। যে ক্যামেরাটি থানায় রয়েছে সেটিও দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই লক আপ থেকে হাওয়া দুই বন্দি। রেল পুলিশ সূত্রে আরও অভিযোগ, দুই পলাতক বন্দির বিরুদ্ধে নিজেদেরই বছর সতেরোর বন্ধুকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৭ অগাস্ট আবাদা স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে বন্ধু শুভম হরিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। পরে রেল পুলিশ গুরুতর আহত শুভমকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মারা যায় যুবক। পরে শুভমের পরিবার ছেলের দুই বন্ধু রাজু হরি ও সমীরুল মোল্লার নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেফতার (Arrest) করে রেল পুলিশ। শালিমার জিআরপি এরপরই অভিযুক্তদের (Accused) পুলিশ লক আপে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। রবিবার তাদের হাওড়া আদালতে পেশ করার কথা ছিল। তবে তার আগেই রবিবার ভোর রাতে লক আপ ভেঙে পলাতক দুই বন্দি।

 

 

 

Previous articleদুই বাংলার কবিতা পাঠ ও গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে চাঁদেরহাট অণ্ডালে
Next articleমাঝআকাশে ধোঁয়া, জরুরি অবতরণ বিমানের