বাংলার সেরা উৎসব দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ সম্মান দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কো। তাই এবারের পুজো হতে চলেছে আরও ঝলমলে। বাংলার গর্বের পুজোর সঙ্গে এবার হতে চলেছে বিদেশ যোগ। ইউনেস্কোর হেরিটেজ সম্মানের পাল্টা আগামী ১ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ মিছিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে তারই রোডম্যাপ তৈরি করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানান, এবার পুজো প্রস্তুতি দেখতে ২১, ২২, ২৩ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো থেকে আসবেন বিদেশিরা।

এদিনের বৈঠকে অনুষ্ঠানসূচি তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ মিছিল উপলক্ষ্যে বেলা ২ টোয় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে মিছিল শুরু হবে। সেখান থেকে রানি রাসমনি রোড ধরে মিছিল পৌঁছবে ধর্মতলায়। সেখানে মঞ্চে মাটির দুর্গামূর্তি দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হবে ইউনেস্কোকে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “যে যেভাবে পারবেন সেলিব্রেট করবেন। মিছিলে কেউ চাইলে শঙ্খ বাজাবেন, কেউ গান গাইবেন। কেউ উলু দেবেন।” তবে প্রত্যেককে পড়তে হবে ঝলমলে রঙিন পোশাক। সাদা বা কালো পরা যাবে না, তা বলে দিয়েছেন তিনি। শহরের পাশাপাশি একই সময়ে একই দিনে মিছিল হবে জেলা গুলিতে। শুধু তাই নয়, এবার পুজোর প্রস্তুতি দেখতে শহরে উপস্থিত থাকবেন ইউনেস্কোর বিদেশি অতিথিরা। সেকথাও এদিন জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পুজো প্রস্তুতি দেখতে আগামী ২১, ২২, ২৩ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো থেকে অনেক বিদেশীরা আসবে পুজো দেখতে।

উল্লেখ্য, বাংলার পুজোর বিদেশিদের আগমন নতুন নয়। প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে অতিথিরা আসেন রাজ্যের পুজো দেখতে। তবে এবার ইউনেস্কো হেরিটেজের তকমায় এবারের দুর্গাপুজো হতে চলেছে আরও জাঁকজমকপূর্ণ। ইউনেস্কোর সদস্যতো বটেই, বিদেশি অতিথিদের আগমন অনেক বেশি বাড়তে চলেছে এবার বাংলার সেরা উৎসবে।
