পঞ্চায়েতেও তৃণমূলকে হারাতে পারবে না বিজেপি! জোরালো দাবি দিলীপ ঘোষের

“কারও হিম্মত থাকলে কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক…”, বক্তা কোনও তৃণমূল নেতা নয়, সম্প্রতি জোর গলায় এমনই দাবি করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসক দল তৃণমূলের পাল্লাভারি বলে দাবি করলেন দিলীপ। তবে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের জয় আসবে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে।

আরও পড়ুন: অনুব্রত মামলার বিচারককে হুমকি চিঠি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, চিঠির “প্রেরক” আদালত কর্মী!

দিলীপ ঘোষের কথায়, ভোট লুঠের গণতন্ত্র চলছে রাজ্যজুড়ে। তাই এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও তাই হবে। যদি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যকে তর্কের খাতিরে সঠিক ধরে নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রেও তো প্ৰশ্ন উঠবে বিজেপির দিকে। তাহলে কি বিজেপির লাফালাফি সার, এখনও বুথস্তরে সংগঠন গড়ে ওঠেনি, যেখানে নূন্যতম প্রতিহতি করা যায়? দিলীপের বক্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

এদিন পুজোয় ক্লাবগুলোকে অনুদান দেওয়ার প্রসঙ্গেও ফের রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন দিলীপ। তাঁর দাবি, “একটিও পুজো কমিটি টাকা চায়নি। উনি (মুখ্যমন্ত্রী) যেচে দান খয়রাত করছেন। তাই জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। ঠিক হয়েছে।”

দিলীপ ঘোষকে পাল্টা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। দিলীপ ঘোষ পুজোর অনুদান নিয়ে আগেও মন্তব্য করেছিলেন। তার প্রতিক্রিয়ায় মদন মিত্র বলেছিলেন, “বেশ করা হয়েছে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। পরের বছরগুলোতে আরও বেশি বেশি ক্লাবকে অনুদান দেওয়া হবে।” আর দিলীপকে খোঁচা মেরে মদন বলেন, “আগে বলা হতো আলো মানে ফিলিপ আর পাগল মানে দিলীপ। কিন্তু এখন ওনাকে দেখে আমার মন খারাপ হয়ে যায়। দলের মধ্যে একঘরে। তবে স্বপ্নে এলে ওকে সুস্থ হওয়ার ওষুধ বলে দেবো।”

Previous articleমানবিক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়: সৎ মায়ের বঞ্চনায় অতিষ্ঠ ছেলেকে নতুন ঠিকানা
Next article“কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসুন, খরচ আমি দেবো”, ভাঙা সংসার জুড়তে দম্পতিকে পরামর্শ বিচারকের