গরু পাচার মামলায় এবার তৎপর ইডি

গরু পাচার মামলার তদন্ত হোক ভিন রাজ্যে। এমন দাবি আগেই তুলেছিল বিজেপি। আর সেটাই সত্যি করে দেখাল ইডি। সিবিআই-এর পর এবার তৎপর তারা। তাই গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনকে হেফাজত নিতে চায় ইডি। দু’জনকেই ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় তারা। এই ঘটনায় এটা স্পষ্ট, কেন্দ্রের মোদি সরকারের কথামতই কাজ করে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি।

আরও পড়ুন:অনুব্রত মামলার বিচারককে হুমকি চিঠি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, চিঠির “প্রেরক” আদালত কর্মী!

গরু পাচার মামলায় প্রত্যক্ষভাবে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও যোগসূত্র খুঁজে পায়নি সিবিআই। তবে তাঁর আত্মীয়দের কাছ থেকে বিপুল সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন আধিকারিকরা। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানোউতর। এই ইস্যুকে সামনে রেখেই সিবিআইয়ের পাশাপাশি আলাদা করে তদন্ত করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

অন্যদিকে, গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে সায়গলের পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির হদিস পেয়েছে সিবিআই।  বীরভূম, কলকাতা, মুর্শিদাবাদে সায়গলের নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে।সায়গল হোসেনের একাধিক আত্মীয়ের নামেও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। অনুব্রত মণ্ডলের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী থাকার সময়ে গরু পাচারের টাকাতেই সায়গল সম্পত্তির ‘পাহাড়’ গড়েছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। কিন্তু কোথা থেকে এত সম্পত্তি এলো তার গোঁড়ায় পৌঁছতে চাই ইডি। তাই মামলায় ধৃত সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় ইডি।

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেন আসানসোল সংশোধনাগারে  রয়েছেন। চলছে তদন্ত। আর এরই মধ্যে কোমর বেঁধে তদন্তে নামছে আরও এক কেন্দ্রীয় সংস্থা । পাচারের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসনেকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চান ইডির আধিকারিকরা।

Previous article“কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসুন, খরচ আমি দেবো”, ভাঙা সংসার জুড়তে দম্পতিকে পরামর্শ বিচারকের
Next articleনাম-ছবি ব্যবহার করে ফেক প্রোফাইলে অপকর্ম, থানায় অভিযোগ দায়ের কুণালের