যানজটের সমস্যা মেটাতে আসরে খোদ পুলিশ সুপার, সাইকেলে চেপে ঘুরছেন শহরের অলিগলি

জেলায় যানজটের (Traffic Jam) সমস্যা দীর্ঘদিনের। সময় যত গড়িয়েছে তা আরও মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। পুলিশের কাছে ভুরি ভুরি অভিযোগ করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে যানজটের সমস্যা মেটাতে এবার সাইকেলে চেপে পথে নেমে পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করলেন খোদ পুলিশ সুপার (Barasat SP)। প্রতিদিনই বারাসত থানার সমস্ত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সন্ধে বা রাতে সময় করে সাইকেলে চেপে (Cycling) যানজটের খুঁটিনাটি বিষয় নিজে খতিয়ে দেখছেন রাজানারায়ণ। সাইকেলে চেপে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো গোটা শহর ঘুরছেন তিনি। আর খোদ পুলিশ সুপারের এমন ভূমিকায় খুশি সকলেই।

তিনি জানান, রাস্তার পাশে পার্কিংয়ের (Parking) কারণেই বারাসতের একটি বড় অংশে যানজট তৈরি হয়। রাতের দিকে ভারী গাড়ির সংখ্যা বাড়লেও যানজট সৃষ্টি হয়। আর এই দুটি বিষয় নজরে আসতেই নিজে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ট্রাফিক কন্ট্রোলের (Trafic Control) সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সারিয়ে সদা সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে। কোথাও কোনও সমস্যা হলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, আগামীদিনে প্রতিটি ট্রাফিক কিয়স্কে গুগল ম্যাপ (Google Kiosk) এবং সিসিটিভি ক্যামেরার (CCTV Camera) লাইভ ফিড (Live Feed) লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক মতো করতে পারলে বারাসতে যানজট আরও কমবে।

বারাসতে যানজটের সমস্যা নতুন কিছু নয়। তবে পুলিশ সুপার রাজানারায়ণ মুখোপাধ্যায় (Rajanarayan Mukhopadhyay) শহরের যানজট খতিয়ে দেখতে প্রতিদিনই সাধারণ পোশাকে রাস্তায় বেরোচ্ছেন। বর্তমানে পুলিশ সুপারের উদ্যোগে বর্তমানে অনেকটাই কমেছে যানজট যন্ত্রণা। তবে ধীরে ধীরে যানজট সমস্যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে (Controlled) চলে আসবে বলে আশ্বাস জানিয়েছেন রাজানারায়ণ মুখোপাধ্যায়। বারাসত শহরে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা রয়েছে। একটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক (National Highway), অন্যটি যশোর রোড। আর এই দুটি ব্যস্ততম জাতীয় সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণ নিঃসন্দেহে ট্রাফিক পুলিশের (Traffic Police) কাছে চ্যালেঞ্জিং (Challenging)। আর সেইকারণেই রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল বারাসত পুলিশকে। প্রতিদিনই জমা পড়ছিল অভিযোগ। তবে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়েও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। অবশেষে পথে নেমে নিজের দক্ষ হাতে পরিস্থিতির সামাল দিতে বদ্ধপরিকর খোদ পুলিশ সুপার।

Previous articleমাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি! উত্তরপত্রে ‘অন্য কালি’, আদালতে পরীক্ষার্থী
Next articleএকে একে নিভিছে দেউটি: ‘হাত’-এ অনাস্থা একের পর এক শীর্ষ নেতৃত্বের