তারাপীঠে যাওয়া হল না, কৌশিকী অমাবস্যায় জেলে বসেই মা কালীর আরাধনায় কেষ্ট

তারাপীঠ, বাড়ির ঠাকুর ঘর নাই বা থাক, নাই বা থাক ঝুড়ি ঝুড়ি ফুল, ফল, কিংবা মায়ের জন্য দামি শাড়ি। ভক্তি থাকলেও মায়ের কাছে প্রার্থনা করা যায় যে কোনও জায়গা থেকেই। মায়ের ভক্ত কেষ্ট জেলে বসেই মায়ের আরাধনা করলেন। 

তিনি ধার্মিক (atheist)। শুধু পুজো-অর্চনায় শুধু বিশ্বাসী নয়, পুজো-অর্চনা না করলে তাঁর দিন কাটে না। বছরের পর বছর দিনের পর দিন সেই রেওয়াজেই অভ্যস্ত তিনি। কিন্ত এখন তাঁর দিন কাটছে কারাগারে। গরু পাচার মামলায় (cow smuggling case) বিচারাধীন বন্দি তিনি। ফলে আজ তিনি বড় নিঃসঙ্গ। যেখানে বাড়ির মতো ঠাকুর ঘরও নেই, তারাপীঠও(Tarapith) নেই।কৌশিকী অমাবস্যার দিন তিনি যেখানে থাকুন তিথির নির্ঘণ্ট মেনে তারাপীঠে আসবেনই। সঙ্গে দামী বেনারসী শাড়ি, বিশাল জবাফুলের মালা, প্রসাদের ডালি। মন্দিরে ঢুকলেই তাঁকে ঘিরে পুরোহিতদের তৎপরতা। প্রতি বছরই তারাপীঠে দেখা সেই অনুব্রত (anubrata Mondal) এখন বন্দি।

তবে পুজো-অর্চনা থেকে নিজেকে দূরে রাখেননি অনুব্রত মণ্ডল। জেলে আছেন বলে তারা মা-কে পুজো দিতে পারবেন না তা হয় নাকি! আবার কৌশিকী অমাবস্যার মতো তিথি বলে কথা।তাই তারাপীঠ, বাড়ির ঠাকুর ঘর নাই বা থাক, নাই বা থাক ঝুড়ি ঝুড়ি ফুল, ফল, কিংবা মায়ের জন্য দামি শাড়ি। ভক্তি থাকলেও মায়ের কাছে প্রার্থনা করা যায় যে কোনও জায়গা থেকেই। মায়ের ভক্ত কেষ্ট জেলে বসেই মায়ের আরাধনা করলেন।

কিন্তু কীভাবে? অনুব্রত মণ্ডলের সেলের সামনে জেল হাসপাতালের ওয়ার্ডের দেওয়াল। সেখানেই টাইলসে থাকা একটি মা কালীর ছবি। দু’হাতের তালুর মাঝে একটি মাত্র জবাফুল। প্রণাম ঠুকে সেটাই নিবেদন করলেন অনুব্রত।
একমনে প্রার্থনা করলেন। জেল কর্তৃপক্ষর কাছে নিরামিষ খাওয়ার আবেদন জানান। সেই মতো ভাত, ডাল আর সব্জি দিয়ে কোনওরকমে খাওয়া-দাওয়ার পাঠ চোকান।

Previous articleবাগদায় গণধ*র্ষণের ঘটনাকে ‘ভুয়ো’ বলে দাবি দিলীপ ঘোষের
Next articleTarapith: কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে আজও উপচে পড়া ভিড় তারাপীঠে