ওয়ার্ড নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা নেই: রাহুল ঘনিষ্টদের কটাক্ষ কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারির

গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad) কংগ্রেস(Congress) ছাড়ার পর, দলের ভিতরে থাকা বিক্ষুদ্ধদের ‘জি ২৩’ গোষ্ঠীর নেতারা আবার সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছেন। আজাদ দল ছাড়ার পর একই শিবিরের মণীশ তিওয়ারি (Manish Tiwari) এবার গান্ধী পরিবারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্টদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “তাদের ওয়ার্ড নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা নেই, অথচ এই লোকেরা এমন জ্ঞান দেয় যেন পুরো দল তাদের কাঁধে ভর করে থাকে।”

আজাদের পদত্যাগের বিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তেওয়ারি বলেন, “উত্তর ভারতের লোকেরা, যারা হিমালয়ের শীর্ষে বাস করে, তারা উৎসাহী , আত্মবিশ্বাসী মানুষ। গত ১০০০ বছর ধরে, তাঁরা হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছে। এসব লোকের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়।” তিনি বলেছেন যে দুই বছর আগে আমাদের মধ্যে ২৩ জন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি লিখে জানিয়েছিল যে কংগ্রেসের অবস্থা উদ্বেগজনক যা বিবেচনা করা দরকার। বহু মানুষ ও পরিবার তাদের রক্ত ​​দিয়ে লালন করেছে কংগ্রেসের বাগান। কেউ কিছু পেয়ে থাকলে তা দান হিসেবে নয়, তা ঘাম রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। তিনি বলেন, “আজকে দলে যা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হয় না যে এই সেই দল যে দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছিল।”

উল্লেখ্য, আজাদের পদত্যাগের স্ক্রিপ্ট অনেক আগে তৈরি করা হয়েছিল যখন অসন্তুষ্ট নেতাদের ‘জি ২৩’ শিবির প্রকাশ্যে আসে। এই নেতারা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এই নেতারা রাহুল গান্ধীর কাজের ধরন পছন্দ করে না বলেই তারা বিদ্রোহ করে। যদিও এর পরে সোনিয়া গান্ধী ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিছু নেতা ‘জি ২৩’ শিবির থেকে নিজেদের সরিয়েও নেন । কিন্তু গুলাম নবি, মনীশ তেওয়ারি, কপিল সিবাল এবং আনন্দ শর্মার মতো নেতাদের কণ্ঠ আগের মতোই রয়ে গেছে। আনন্দ শর্মা হিমাচলের দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, আজাদ ও সিবাল কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছেন। এরই মাঝে এবার রাহুল ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ ডাকলেন মণীশ।

আরও পড়ুন:Noida: নয় সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে যাবে নয়ডার টুইন টাওয়ার, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

 

Previous articleNoida: নয় সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে যাবে নয়ডার টুইন টাওয়ার, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
Next articleমরশুমের প্রথম ডার্বি, লাল-হলুদকে সমীহ বাগান কোচের