Noida: নয় সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে যাবে নয়ডার টুইন টাওয়ার, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

পাঁচ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে রবিবার সকাল সাতটা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়। বাসিন্দাদের পোষ্যদের এবং বহুতলের পার্কিং লটে থাকা গাড়িও স্থানান্তরকরণের কাজ চলছে।

গগনচুম্বী যমজ অট্টালিকা (Noida’s twin towers) নিমিষেই মিশে যাবে মাটিতে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের আগে চূড়ান্ত তৎপরতা বাসিন্দাদের (residents) মধ্যে। কেউ বাড়ি ছেড়ে বন্ধুর বাড়িতে থাকবেন বলে ঠিক করেছেন, কেউ বা হোটেলে। কেউ আবার দু-তিন দিনের জন্য ছোটখাটো ট্যুর সেরে ফেলার প্ল্যানিং করে ফেলেছেন।

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই কুতুব মিনারের থেকেও আরও বেশি উচ্চতার যমজ অট্টালিকার অবসান ঘটতে চলেছে। একটির নাম অ্যাপেক্স (Apex) ,অন্যটির নাম সিয়ানে (Siyane) । প্রথমটির উচ্চতা প্রায় ১০০ মিটার, দ্বিতীয়টির ৯৭ মিটার। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গুঁড়িয়ে যাবে এই দুই অট্টালিকা। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক (Explosives) ব্যবহার করে এই টুইন টাওয়ার ভাঙ্গার কাজ শুরু হবে। সেক্ষেত্রে বিস্ফোরণের সময় আশপাশের বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এর জন্য পাঁচ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে রবিবার সকাল সাতটা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়। বাসিন্দাদের পোষ্যদের এবং বহুতলের পার্কিং লটে থাকা গাড়িও স্থানান্তরকরণের কাজ চলছে।

রবিবার দেশের এই উঁচু বাড়ি ভাঙার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর দুই টাওয়ারের মধ্যে যে নূন্যতম দূরত্ব বজায় রাখা দরকার সেই বিধি মানা হয়নি। নয়ডা প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের দিন প্রায় ২০ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হবে দ্য নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে। দু’দিনের জন্য আশপাশের টাওয়ারগুলি থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই টাওয়ার তৈরির পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হচ্ছে দুটি বহুতলই। টাওয়ার দুটি ভাঙা হলে ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ বেরবে বলে মনে করা হচ্ছে। টুইন টাওয়ারের একটি ৩২ তলা, অন্যটি ২৯ তলার। ওই দুটি ভাঙতে ৩৭০০ টন বিস্ফোরক লাগবে বলে সূত্রের খবর।

Previous articleভোট বড় বালাই! কলেজ ছাত্রীদের পা ধরে কাকুতি-মিনতি প্রার্থীর
Next articleওয়ার্ড নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা নেই: রাহুল ঘনিষ্টদের কটাক্ষ কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারির