বাংলাদেশের সড়ক দিয়ে আসামের জ্বালানি তেল যাচ্ছে ত্রিপুরায়

খায়রুল আলম, ঢাকা : বাংলাদেশের স্থল বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করে ভারতের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে অন্য পরিবহন সুবিধা শুরু হয়েছে। ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত আসাম থেকে সিলেট ও মৌলভীবাজারের সড়ক দিয়ে মেঘালয় হয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল ও তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) পরিবহন শুরু করেছে ভারত। তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০টি পেট্রোলিয়ামবাহী যান ত্রিপুরার পথে রওনা হয়ে ওই রাজ্যে পৌঁছে।

সিলেটের ভারতের উপহাইকমিশন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ভারি বর্ষণে উত্তর-পূর্ব ভারতে রাস্তার অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে আসামের মধ্য দিয়ে পেট্রোলিয়াম সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে।
এতে উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম ও মিজোরামে পেট্রোলিয়াম সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য জরুরি বিকল্প পথ খুঁজছিল ভারত সরকার।

এ বিষয়ে গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সঙ্গে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।  এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে ১০টি পেট্রোলিয়ামবাহী ট্যাংকলরির একটি কনভয় হিসেবে বাংলাদেশের সিলেটের তামাবিল-ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর সড়ক দিয়ে ত্রিপুরার কৈলাস্বরের উদ্দেশে রওনা দেয়।

তামাবিল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূইয়া জানান, পেট্রোলিয়াম বা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বহনকারী ট্যাংকারগুলো বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহারের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আইওসিএল প্রশাসনিক মাশুল, চার্জ, স্থানীয় টোল এবং স্থানীয় ভূখণ্ড ও সড়ক ব্যবহারের ফিসহ অন্যান্য খরচ বহন করেছে।
পরীক্ষামূলক ট্রানজিট কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেমন নতুন মাত্রা পাবে, তেমনি দেশের রাজস্ব খাত সমৃদ্ধ হবে বলে জানান সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার। তিনি বলেন, ‘সমঝোতা চুক্তির আওতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় এসব তেলবাহী ট্যাংকলরি তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সব ধরনের তল্লাশি শেষে গাড়িগুলো সিলেটের সড়কপথ দিয়ে মৌলভীবাজারের চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেয়। ওই শুল্ক স্টেশন দিয়ে জ্বালানিবাহী ট্যাংকলরিগুলো ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাস্বরে যাবে।  ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল সরবরাহের পর খালি গাড়িগুলো বাংলাদেশের চাতলাপুর চেকপোস্ট হয়ে একই পথে আবার ভারতে ফিরে যাবে।’

এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসে আসাম থেকে ত্রিপুরার রাস্তা (এনএইচ ৪৪) নষ্ট হওয়ায় আসাম থেকে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল পাঠিয়েছিল ভারত। তখন বাংলাদেশ দুই মাসের জন্য জ্বালানি পরিবহনে ভারতকে ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিয়েছিল।

আরও পড়ুন:মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে যাবে গগনচুম্বী অট্টালিকা

 

Previous articleমাত্র কয়েক সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে যাবে গগনচুম্বী অট্টালিকা
Next articleদেশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা মমতা-অভিষেকের