পূর্ণ্য হল ২৪, লক্ষ্যও ২৪। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২৪ বছর পূর্তি সমাবেশ। ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি দখলের শপথ নেবে বাংলার ছাত্রসমাজ।
আরও পড়ুন:দেশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা মমতা-অভিষেকের
সোমবার বাংলার ছাত্র-যুব সমাজকে সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর দিশা দেখাবেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয়তাবাদী দুর্বার ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে ছাত্রসমাজকে উদ্ধুদ্ধ করবেন কঠিম সংগ্রামের দীর্ঘ পথ সাফল্যের সঙ্গে পার হয়ে আসা মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। সচেতন করবেন সাম্প্রদায়িকতার বিপদ সম্পর্কে। লড়াইয়ের ডাক দেবেন গেরুয়া শিবিরের ভ্রান্ত অর্থনীতির বিরুদ্ধে। শিক্ষার গেরুয়াকরণ এবং প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে। দেশের রাজনৈতিক যুগসন্ধিক্ষণে যা হবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ছাত্র-যুব সমাজকে বিশেষ বার্তা দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রবিবার সন্ধ্যায় মেয়ো রোড পরিদর্শন করেন তিনি। সোমবারের প্রস্তুতির খোঁজখবরও নেন।
কোভিড কালে গত দু’বছর সমাবেশ করা যায়নি। এবারে ফের প্রকাশ্য সমাবেশ। তাই প্রকৃত অর্থেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসবের মেজাজ। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে, তাঁদের দেখতে রবিবার থেকেই মহানগরীতে আসতে শুরু করেছেন দূরদূরান্তের ছাত্রছাত্রীরা। উত্তরের জেলাগুলি থেকে অনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন কলেজের ইউনিটের সদস্যরা। পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল-সর্বত্রই উদ্দীপনা তুঙ্গে। ট্রেন এবং বাসে রওনা হয়ে গিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গের ছাত্রছাত্রীর দল। সুশৃঙ্খল ছাত্রবাহিনী। চোখে পড়ার মত কোভিড-সতর্কতা।সোমবার বেলা ১২টায় সভা শুরু হলেও ভোর থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে মেয়ো রোডে শুরু হয়ে গেছে ছাত্রসমাজের ভিড়। এদিন ছাত্রছাত্রীরা রেকর্ড সংখ্যায় জমায়েত করবেন বলে আশাবাদী তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।