বছর পেরোলেই হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। দলের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে মাস কয়েক আগেই সরকারের মুখ পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পরিবর্তনে কি কোনও সুফল পাওয়া গেল? ত্রিপুরার রাজনীতি জুড়ে এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
আরও পড়ুন: রাতভর বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ, উপরাজ্যপালের পদত্যাগের দাবিতে ধর্নায় আপ বিধায়করা

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পরিবর্তনের পর দলীয় সংগঠনের ছবি দেখতে সম্প্রতি ত্রিপুরায় সফরে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। রবিবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠকের পর সোমবার উপজাতি স্বশাসিত এলাকার সদর দফতর তথা খুমলুংয়ে জনসভায় হাজির হয়েছিলেন নাড্ডা।

তেইশকে পাখির চোখ করে নির্বাচনের ঢাকে কাঠি দেওয়াই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু ত্রিপুরাতেও এবার কার্যত গাড্ডায় পড়লেন নাড্ডা। রাজ্য ও দেশের শাসক দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সভায় মাছি উড়ছে। মঞ্চের সামনে প্রথমসারিতে পার্টির গুটিকয়েক কমিটেড লোক থাকলেও, নাড্ডার সভাস্থলের সিংহভাগ চেয়ারই ছিল শুন্য।

খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ত্রিপুরা বিজেপির মুখ পুড়েছে। জনজাতি এলাকায় নাড্ডাকে স্বাগত জানানো নিয়েও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। কারণ, বিজেপি সভাপতির গোটা যাত্রাপথই প্রায় মুড়ে দেওয়া হয়েছিল “গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডে জেপি নাড্ডাকে স্বাগত” লেখা বিশাল পোস্টার-ব্যানারে। জনজাতি এলাকায় এই বিশাল সভার আয়োজন করা হলেও, এইসকল মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে কথাই বলতে দেখা যায়নি নাড্ডাকে। সরাসরি আর্থিক অনুদান নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

সবমিলিয়ে জনজাতি এলাকায় নাড্ডার জনসভা ছিল সুপার ফ্লপ। জনসমাগম না হওয়ায় সভার সুর কেটে যায়। ফলে নির্বাচনী ডঙ্কা বাজানোর যে উদ্দেশ্য নিয়ে নাড্ডা ত্রিপুরা পাড়ি দিয়েছিলেন, সেটাও সফল হল না। বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বিজেপির নড়বড়ে সংগঠনের ছবিটাই কিন্তু ফুটে উঠল ত্রিপুরার বুকে।
