প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে দুই CBI নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য এবং প্রাথমিক বোর্ড। একইসঙ্গে প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণ সিদ্ধান্তও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।

প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তে সিলমোহর ডিভিশন বেঞ্চের। মানিক ভট্টাচার্য অপসারণ সিদ্ধান্তও বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। এমনই নির্দেশ বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের। এদিন হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, পর্ষদের নথি ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ বহাল থাকবে। সিঙ্গল বেঞ্চ মামলা পর্যবেক্ষণ করবে। কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত হবে। নির্দিষ্ট সময় পরপর রিপোর্ট চাইতে পারবে সিঙ্গেল বেঞ্চ। কিছু বিরূপ মন্তব্য নির্দেশনামা থেকে মুছে ফেলা হল। ২৬৯ বরখাস্ত প্রার্থী দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতে পারবেন না।প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে দুই CBI নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য এবং প্রাথমিক বোর্ড। একইসঙ্গে প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণ সিদ্ধান্তও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। ২০১৭ দ্বিতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া লুকিয়ে করা হয় কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই, এমনটাই অভিযোগ ওঠে। ভুল প্রশ্নে বাড়তি ১ নম্বর বেছে বেছে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুন- কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ালো বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর
পর্ষদের বাইরে দীর্ঘদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই একক বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন, এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা গ্রহণযোগ্য বলে আগেই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷
তবে সব পক্ষকেই নিজেদের বক্তব্যের সপক্ষে আরও তথ্য প্রমাণ আদালতে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। উল্লেখ্য, এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, এমনকি রাজ্য সরকারও। এ ছাড়া বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য-সহ যাঁদের পর্ষদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল, তাঁরাও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা করেছিলেন সৌমেন নন্দী এবং রমেশ মালিক। তাঁদের তরফে আইনজীবী হিসাবে আদালতে হাজির ছিলেন ফিরদৌস শামিম এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে গত ১৯ জুলাই শুনানি শেষ হলেও রায়দান হয়নি। নির্দেশ স্থগিত রাখা হয়েছিল। শুনানি শেষ হওয়ার এক মাস ১৪ দিন পর শুক্রবার রায় ঘোষণা করল ডিভিশন বেঞ্চ।

Previous articleআরও শক্তিশালী ভারতীয় নৌসেনা, যাত্রা শুরু দেশে তৈরি প্রথম রণতরী বিক্রান্তের
Next articleকাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় আহত বাংলার শ্রমিক