বিজেপি (BJP) সরকার দেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেড়েছে ঘৃণা (hate) । রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে মূল্যবৃদ্ধি (price rise) নিয়ে কংগ্রেসের (Congress) কর্মসূচির মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) । তিনি বলেছেন, মানুষ তাদের ভবিষ্যত, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব নিয়ে ভীত। এই বিষয়গুলিই তাদেরকে ঘৃণার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন রাহুল।রাহুলের অভিযোগ, বিজেপি ও আরএসএস দেশকে ভাগ করছে ।

দিল্লির রামলীলা ময়দানে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কংগ্রেসের হল্লাবোল সমাবেশে এদিন প্রচুর কর্মী-সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন। রাহুল এদিন ফের প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ দুই ব্যবসায়ীকে নিশানা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিমানবন্দর, বন্দর কিংবা রাস্তা সবকিছুই দুই ব্যক্তি দখল করে নিচ্ছে। সরকার থেকে যাবতীয় সুবিধা তারাই নিচ্ছে। তাঁর কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ হল দুজনকে সুবিধা করে দেওয়া। কিন্তু কংগ্রেসের আদর্শ হল দেশের অগ্রগতি সবার আগে। তিনি বলেন, এই দেশ মাত্র দুজনের নয়,এই দেশ শ্রমিক,কৃষক এবং বেকার যুবকদের।

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, এই ধরনের মূল্যবৃদ্ধি দেশ আগে কখনও দেখেনি। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সমস্যায় রয়েছে। তা সে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব কিংবা চিনের সঙ্গে সংঘাত বিরোধীদের এই বিষয়গুলি সংসদে তোলার অনুমতি নেই। তিনি অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদি দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ঘৃণা ছড়াচ্ছেন। তবে এর থেকে লাভবান হচ্ছে চিন ও পাকিস্তান। তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত আটবছরে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতকে দুর্বল করে দিয়েছেন।

আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কংগ্রেস কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ৩৫০০ কিমি ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করছে। সেই যাত্রার আগে এই সমাবেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কংগ্রেসের ওই কর্মসূচিতে চালের দাম, বেকারত্বের সমস্যা যেমন তুলে ধরা হবে, ঠিক অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরও প্রচার করা হবে।কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রাকে দলের সর্বকালের বৃহত্তম গণসংযোগের কর্মসূচি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য হল তৃণমূলস্তরে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো।এদিনের সমাবেশ থেকে রাহুল গান্ধী বলেছেন, এই যাত্রার মাধ্যমে কংগ্রেস সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সরকারের মিথ্যা এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার সম্পর্কে তাদের জানাবে।

রামলীলা ময়দানের এই সভাকে ঘিরে দিল্লি পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। কারণ এই সমাবেশে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা থেকেও কংগ্রেস কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। রামলীলা ময়দানে প্রবীণ নেতা কে সি বেণুগোপাল বলেন, এই সরকারের মধ্যে কোনও সহানুভূতি নেই। ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত জিনিসপত্রের দামের দিকে তাকিয়ে দেখুন, কী হারে বেড়েছে? আমরা তারই প্রতিবাদে হল্লা বোলের ডাক দিয়েছি।
