খায়রুল আলম, ঢাকা: বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির নিদর্শন হিসেবে আসন্ন দুর্গাপুজোয় ২৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ(Hilsha) ভারতে রফতানির অনুমতি দিল হাসিনা সরকার(Husaina Govt)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগের দিন অর্থাৎ রবিবার বাংলাদেশ(Bangladesh) বাণিজ্য মন্ত্রক ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এই অনুমতি দেয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৫০ মেট্রিক টন পর্যন্ত ইলিশ রফতানি করতে পারবে।

তবে এবার ইলিশ রফতানির ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-(১) রফতানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে।
(২) শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানিকৃত পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে।
(৩) প্রতিটি কনসাইনমেন্ট শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত কাগজপত্র রফতানি-২ শাখায় দাখিল করতে হবে।
(৪) অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না।
(৫) এ অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনোরূপ বিধি-নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।
৬) সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় ইলিশ রফতানি বন্ধ করতে পারবে।
(৭) এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়, অনুমোদিত রপ্তানিকারক ব্যতীত সাব-কনট্রাক্টে রফতানি করা যাবে না।

জানা গেছে আগামী ১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপুজো শুরু হবে। সাধারণত দুর্গাপুজো উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রফতানি করা হয়। ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রফতানি বন্ধ থাকলেও ২০১৯ থেকে দেশটিতে আবার ইলিশ রফতানি চালু করা হয়। সে বছর বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রফতানি হয়েছিল ৫০০ মেট্রিক টন। ২০২০ সালে রফতানি হয়েছিল ১ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ। ১৮ প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রক। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে কমপক্ষে ২ হাজার টন ইলিশ রফতানি করতে বাংলাদেশ সরকারেরকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় , পশ্চিমবঙ্গে ইলিশের উৎপাদন কমেছে নদী দূষণের জেরে। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬ হাজার ১৭০ টন ইলিশ ধরা পড়েছে।
