বাগুইআটিকাণ্ড: অপহরণের পরে চলন্ত গাড়িতেই খু*ন ২ কিশোর, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

*অপহরণের পরে গাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বাগুইআটির দুই কিশোর অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে*।

তীর্থঙ্কর বা মিঠুন কোলে হত্যার স্মৃতি উসকে ফের অপহরণ-খুন।   কয়েক দশক পরে ফিরল যাদবপুরের তীর্থঙ্করের হত্যার স্মৃতি। অপহরণের ১৫দিন পরে অপহৃত ২ কিশোরের দেহ উদ্ধার বসিরহাটের (Basirhat) মর্গে। *অপহরণের পরে গাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বাগুইআটির দুই কিশোর অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে*। মঙ্গলবার, মৃত্যুর খবর জানিয়ে একথা জানান বিধাননগর (Bidhannagar) পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ (Biswajit Ghosh)। তবে, পুলিশের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ মৃতদের পরিবার-সহ সবার।

কীভাবে প্রকাশ্যে এলো সত্য
পুলিশের তরফে থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমে ৫ সেপ্টেম্বর এক অভিযুক্ত অভিজিৎ বসুকে গ্রেফতার করে পুলিশ জেরায় তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত চালিয়ে বসিরহাট মর্গে দুটি অজ্ঞাত পরিচয় কিশোরের দেহ পাওয়ার কথা জানা যায়। তখনই এই হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসে।

কী হয়েছিল ২২ অগাস্ট
বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, ২২ তারিখ বিকেলে নাকি অতনু ও অভিষেককে নিয়ে বেরোয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র। একটি বাইকের শোরুমে নিয়ে যান তিনি। সেখানে টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্যা হয়। এরপর গাড়িতে সত্যেন্দ্র, অভিজিৎ-সহ চারজন অতনু ও অভিষেককে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ে যান। গাড়িতেই দুই কিশোরকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। আগে থেকেই হত্যার জন্য দড়ি গাড়িতে রাখা ছিল। এরপর একজনের দেহ ফেলে দেওয়া হয় বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের পাশে। অপর দেহ ফেলে দেওয়া হয় বসিরহাটে।

কী নিয়ে শত্রুতা
অভিযুক্ত সত্যন্দ্রের সঙ্গে পরিবারিক সম্পর্ক অতনুর। ৫০ হাজার টাকা তার থেকে নেয় অভিযুক্ত। সেই টাকার জন্য শত্রুতা বলে অনুমান। তবে, শুধুমাত্র ৫০ হাজার টাকার জন্য এই হত্যাকাণ্ড কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এদিকে এলাকার ২ পড়ুয়ার মৃত্যুর খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। সত্যেন্দ্রর বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। কেন ঘটনার ১৪দিনের মধ্যেও পুলিশ জানতে পারল না ২ কিশোর খুন হয়েছে? কেন ২ অজ্ঞাত পরিচয় দেহ পাওয়ার পরেও বসিরহাট থেকে আশপাশের থানায় তথ্য গেল না? মৃতদের দেহ বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় ফেলার পরেও কোথা থেকে এই দেহ ২টি এলো তা জানতে তদন্ত করেনি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ? যদিও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধানের মতে, যেহেতু ২ কিশোর পণবন্দি হয়ে রয়েছে এটা ভেবেই তাঁর খুব সাবধানে এগোচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে ৪জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

 

Previous articleKolkata: টালার পর নজরে চিৎপুর ব্রিজ, সেতুর পুনর্নির্মাণ নিয়ে জরুরি বৈঠক
Next articleমমতার পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় হলফনামা তলব হাই কোর্টের