ঋণ শোধে দেশের মধ্যে প্রথম বাংলা, যদিও পিছু ছাড়ছে না বামের বোঝা

বাম আমলের ঋণের বোঝা নিয়ে বার বার নালিশ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তবে সেই বোঝা ঘাড়ে নিয়েই রাজ্য সরকারের জন্য এল প্রশংসনীয় তথ্য। দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি-র (এনআইপিএফপি) সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে ঋণ শোধে দেশের মধ্যে প্রথম বাংলা। ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯— এই চার বছরে অতীতের ঋণের বোঝা কমানোর ক্ষেত্রে সব থেকে ভাল কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গ(West Bengal)। যদিও এখনও যে ৫ রাজ্যের ঘাড়ে সবচেয়ে বেশি ধার তারমধ্যে অন্যতম বাংলা। তথ্য বলছে, মোট রাজস্ব আয়ের ২০ শতাংশ বেরিয়ে যায় সুদ(Debt) মেটাতে।

কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীন এনআইপিএফপি ১৮টি বড় রাজ্যে এ বছরের বাজেট পর্যালোচনা করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১৫-১৬ সাল থেকে চার বছরে ছ’টি রাজ্য তাদের জিডিপি-র তুলনায় ঋণ কমিয়েছে। এই তালিকায় ৩৩.৮৭% থেকে ৩০.৮৮% নামিয়ে সব থেকে সফল বাংলা। নবান্ন সূত্রের বক্তব্য, স্ট্যাম্প ডিউটি থেকে কর আদায় ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের ফলে আয় অনেকটা বাড়িয়েছিল রাজ্য। কিন্তু কোভিড তাতে বাধা হয়। তার আগে অর্থনীতির শ্লথ গতির ফলেও আয় কমেছিল। তবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগের ফলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। রাজ্যের বাজেট নথি অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে ঋণ বাদে রাজস্ব আয়ের ১৯.৭২% লাগবে পুরনো ধারের সুদ মেটাতে। মানে, পাঁচ ভাগের এক ভাগ শুধু ওই খাতেই।

তবে অতীতের বিপুল ঋণ প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাম আমলে রাজ্যের ঘাড়ে বিপুল পরিমাণ ঋণ থাকলেও তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঋণ শোধের পাশাপাশি বেড়েছে সামাজিক সুরক্ষামুলক প্রকল্প। ২০২১ সালের পর সামাজিক সুরক্ষামুলক প্রকল্প আরও বৃদ্ধি পায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রকল্পগুলি চালু করে সরকার। তবে একাধিক সামাজিক সুরক্ষামুলক প্রকল্প চালিয়েও ঋণ শোধে রাজ্যের এই সাফল্য নিশ্চিতভাবে প্রশংসনীয়।

Previous articleCorona Update: এবার মোবাইল অ্যাপেই ধরা পড়বে করোনা সংক্রমণ!
Next articleআরও ৫৪ জন টেট উত্তীর্ণকে পুজোর আগেই চাকরি দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের