একদিন-দুদিন নয়, গত ২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামের দুই বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সম্পর্কে তারা দুই তুতো ভাই। পরিবারের দুই ছেলে নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অর্থাৎ গত ২৪ অগস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ করে তাদের পরিবার।

খাতায়-কলমে তদন্ত শুরু করে বাগুইআটির থানার পুলিশ। যদিও অভিযোগ তদন্তে গাফিলতি ছিল পুলিশের। প্রায় ১১ দিন পর বসিরহাটের মর্গে খোঁজ পাওয়া যায় দুই ছাত্রের নিথর দেহ। এই ঘটনার তদন্তে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এখনও পর্যন্ত সামান্য লিড পেয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ীই খুন করা হয়েছে অতনু ও অভিষেককে। বেশ কিছুদিন আগেই সেই ষড়যন্ত্র করা হয়। যদিও এখন থেকে এই জোড়া খুনে তদন্ত করবে সিআইডি। গোটা ঘটনার রিপোর্ট আগেই চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তদন্তে গাফিলতির জন্য
বাগুইআটির থানার আইসি-কে ক্লোজড করা হয়েছে।

এদিকে সূত্রের খবর, ধৃত অভিজিৎ-সহ বাকি অভিযুক্তদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কয়েকদিন আগে বিধাননগর এলাকায় অভিজিতের সঙ্গে একটি হোটেলে দেখা করে সত্যেন্দ্র চৌধুরী। সেই হোটেল কাজ করত অভিজিৎ। বাকি তিনজনকেও জোগাড় করে সত্যেন্দ্র। পরে ওই হোটেলেই খুনের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়। জানা গিয়েছে প্রথমে অতনুকেই খুনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেদিন অতনুর সঙ্গে পিসুতুত ভাই অভিষেক থাকায় খুন হতে হয় তাকেও।

প্রসঙ্গত, বাগুইআটির দুই স্কুল পড়ুয়া অতনু দে ও অভিষেক নস্করের খুনের ঘটনায় এখনওপর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যে গাড়িতে অতনু ও অভিষেককে অপরহণ করে খুন করা হয় সেটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।ধৃতরা হল অভিজিত্ বোস, তার বাড়ি হাওড়ায়। বাকিরা শামিম আলি, শাহিন আলি, দিব্যেন্দু দাস। এদের জেরা করেই ওই গাড়িটির সন্ধান পাওয়া যায়। কেষ্টপুর থেকে গাড়িটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরি এখনও পলাতক। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
