গরুপাচার মামলায় ফের ১৪দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। তবুও দমছেন না। খোলা মনে জানিয়ে জানালেন, কয়লাপাচার কাণ্ডেমন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে CBI হানা অন্যায়। বন্দিদশাতেই মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে CBI তল্লাশির কড়া সমালোচনা করলেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন আদালত থেকে ফের একবার জেলে ঢোকার সময় মলয় ঘটককে নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, “অন্যায় হয়েছে”!

প্রসঙ্গত, আজ বুধবার মলয়বাবুর আসানসোলের তিনটি বাড়িতে আচমকা তল্লাশি চালান CBI আধিকারিকেরা। এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু করে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত চলে CBI তল্লাশি। আসানসোলের আপকার গার্ডেনে দু’টি বাড়ি রয়েছে মলয় ঘটকের। চেলিডাঙা এলাকায় তাঁর পৈতৃক বাড়ি। তিনটি জায়গাতেই চলে CBI অভিযান। তবে কোনও বাড়িতেই তল্লাশির সময় মন্ত্রী মলয় ঘটক উপস্থিত ছিলেন না বলে খবর। বড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।

এদিন আচমকা CBI তল্লাশি নিয়ে মন্ত্রীর ভাই অভিজিৎ ঘটক তোপ দেগে বলেন, “CBI কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে পারেনি। আমি নিজে একজন আইনজীবী। আমার বাবা, দাদু, দাদা সকলেই আইনজীবী। আইনের বিষয়টা আমরা ভালো বুঝি। মধ্যবিত্ত ও সচ্ছল পরিবারে যা যা সম্পত্তি থাকার কথা, তাই রয়েছে। সেইসব কিছু খতিয়ে দেখে CBI.”

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বুঝেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ব্যবহারে আপ্লুত মন্ত্রী ঘরনি সুদেষ্ণা ঘটক। স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সুদেষ্ণা বলেন, “ওনারা বললেন এটা মন্ত্রীর বাড়ি বোঝাই যাচ্ছে না। আমাদের সঙ্গে ভীষণ ভাল ব্যবহার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। আমি চাবিওয়ালা ডেকেছিলাম। ওনারা আলমারি খুলে দেখলেন। অফিশিয়াল কাজকর্ম করেছিলেন। আমাদের কাগজপত্রে সই করালেন। কিছুই জানতে চাননি। খুবই ভদ্র। জামাকাপড় ওঠাতে বললেন। জামাকাপড় গুছিয়ে রাখতেও বলবেন। চিলেকোঠার ঘরে ভাঙা জিনিসপত্র রাখা ছিল। ওনারা বললেন সরিয়ে দিতে। আমার এক বোন এসেছিলেন। ওঁরা বলেছিলেন আপনার বাড়ি লোককে ঢুকতে দেব? আমি বললাম, যেটা নিয়ম সেটা নিয়ম। কাউকে ঢুকতে দেবেন না।”

আরও পড়ুন- সত্যেন্দ্র কোথায়? বাগুইআটি জোড়া অপহরণ-খু*নে ভিনরাজ্যে নজর তদন্তকারীদের!

অন্যদিকে, মলয় ঘটকের বাড়িতে আচমকা CBI তল্লাশি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আসানসোলের তৃণমূল কর্মীরা। দফায় দফায় তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। দুর্গাপুরে তৃণমূল কর্মীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। দুর্গাপুরের তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরাও যোগ দেন এই অবরোধে।
