নেই কোনও জনভিত্তি। পায়ের তলা থেকে সরে গিয়েছে মাটি। কেন্দ্রীয় নেতাদের (Central Leaders) কাছে তাই নম্বর বাড়াতে হঠাৎ নবান্ন (Nabanna) অভিযান কর্মসূচি নেয় বঙ্গ বিজেপি (BJP)। যেখানে একটা হিংসা-অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার মতলবে ছিলেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। যদিও পুলিশ কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় তা মোকাবিলা করে।

বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানকে অভিযানকে কেন্দ্র করে আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই তুঙ্গে উত্তেজনার পারদ। অশান্তি ও হিংসার আঁচ করতে পেরে অনেক আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল পুলিশ-প্রশাসন। সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় যান নিয়ন্ত্রণ। নবান্ন অভিযান রোখার জন্য রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড দেয় প্রশাসন। দ্বিতীয় হুগলি সেতু ও হাওড়া ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।তবে গত কয়েকদিন ধরে নবান্ন অভিযান নিয়ে হম্বিতম্বি ও ফাঁকা আওয়াজ মারা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ফানুস শুরুতেই চুপসে যায়। ট্রেলারেই শেষ হয়ে যায় সিনেমা। বিজেপি নবান্ন অভিযানকে কার্যত হাস্যকর নাটকে পর্যবসিত করেন শুভেন্দু। সকাল তখন সাড়ে বারোটা পৌনে একটা হবে, শুভেন্দুর নেতৃত্বে গেরুয়া বাহিনীর গণ্ডগোলের পরিকল্পনা খুব সাফল্যের সঙ্গে ব্যর্থ করে দেয় পুলিশ প্রশাসন। গুটিকয়েক মহিলা পুলিশ বেষ্টনীতেই খেলখতম বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। আটক হওয়ার জন্য গুটি গুটি পায়ে হেঁটে নিজেই উঠে পড়লেন পুলিশের গাড়িতে। আর এই ঘটনার পরই শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বললেন “আলুভাতে”!


কুণাল বলেন, “বিজেপির কোনও জনভিত্তি নেই। আর শুভেন্দুর কথা যত কম বলা যায়, ততই ভালো। যতগুলো ক্যামেরা ছিল, তত মিনিট পুলিশের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। একটা আলুভাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) থেকে ওর শেখা উচিত, বিরোধী আন্দোলন কাকে বলে। মমতাদি যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, মারতে মারতে রয়টার্স থেকে বের করেছিল সিপিএমের পুলিশ। সিঙ্গুর বিডিও অফিস থেকে চুলের মুঠি ধরে বের করছিল।”

বিজেপি বিপুল টাকা লাগিয়ে ছিল নবান্ন অভিযানে। আর সেই ১১কোটির অভিযান শুভেন্দুর সৌজন্যে শেষ হয়ে যায় মাত্র ১১মিনিটে। ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭৫ বছরে এমন সুপার ফ্লপ অভিযান বিরোধী দলের হয়নি, যেখানে বিরোধী দলনেতা হাঁটতে হাঁটতে বিনা বাধায় পুলিশের গাড়িতে উঠে গিয়েছে। তারপর লালবাজারে গিয়ে ঠাণ্ডা মিনারেল ওয়াটার খেতে খেতে বেঞ্চে বসে হাওয়া খেতে দেখা যায় শুভেন্দু ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। যা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই শুরু হয়ে যায় কানাঘুষো। তৃণমূল তো বটেই, বিজেপির একটি বড় অংশ বলতে শুরু করে রাস্তায় কর্মীরা আন্দোলন করছে, আর নেতা-নেত্রী নাটকের পর বিশ্রাম নিচ্ছেন।

