যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ফেরত ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়াদের মাঝপথে পড়াশুনো বন্ধ করে দেশে ফিরতে হয়েছে পড়ুয়াদের। কোনওমতে প্রাণে বেঁচে ফিরে এসেছেন তাঁরা। তবে পড়ুয়াদের অসমাপ্ত পড়াশুনো চালিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমাপ্ত কোর্স শেষ করে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি কেন্দ্র দেখুক, এমন দাবিও জানান তিনি। তাঁর নির্দেশমতো সংসদে এনিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। অসহায় পড়ুয়াদের জন্য কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্য তো মেলেইনি। উল্টে সাংসদের চিঠির উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সাফ জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল-সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নিয়ামক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ওই পড়ুয়াদের সাহায্যার্থে কেন্দ্রের কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন:রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মুখোমুখি ডোভাল-পাত্রুশেভ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা
চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১৯, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৫৬ ও ফরেন গ্র্যাজুয়েট লাইসেন্সিয়েট রেগুলেশনসের স্ক্রিনিং টেস্ট রেগুলেশনস ২০০২ – এই তিন নিয়ামক সংস্থার নিয়মে স্পষ্টই উল্লেখ রয়েছে, বিদেশের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভারতীয় কোনও প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে পারে না, ট্রান্সফারও করা যাবে না।তাই যে সকল পড়ুয়া তাঁদের পড়াশুনা অসমাপ্ত রেখে চলে এসেছেন, তাঁদের বিদেশেই পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র তাঁদের কোনও সুরাহা করতে পারবে না।

মাণ্ডব্য আরও জানান, ভারতের মেডিক্যাল সংস্থাগুলির নিয়ম বলছে, বিদেশ থেকে ডাক্তারি পাশ করে এদেশে ফিরে কেউ প্র্যাকটিস করতে চাইলে তাঁকে ফরেন মেডিক্যাল স্টুডেন্টস গ্র্যাজুয়েটের পরীক্ষায় বসতে হবে। পাশ করলে তবেই ভারতে চিকিৎসা করার সুযোগ মিলবে। প্রথমে ২ বছরের কম্পালসরি রোটেটিং মেডিক্যাল ইন্টার্নশিপ করতে হবে হবু ডাক্তারদের। ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে পুরোপুরি অভ্যস্ত হওয়ার পরই তাঁরা ডাক্তারি পেশায় প্রবেশ করতে পারবেন। অন্যথা মেডিক্যাল নিয়ামক সংস্থাগুলি তাদের অনুমোদন করবে না।