Wednesday, December 24, 2025

থিসিস নকল করে পিএইচডি ডিগ্রি! অপসারিত কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন

Date:

Share post:

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এরইমধ্যে প্রকাশ্যে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্যের থিসিস পেপার নকল করে পিএইচডি অর্জন করলেন অন্য আরেক গবেষক।এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সাসপেন্ড করা হল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনকে।

আরও পড়ুন:“ডোন্ট টাচ মাই বডি” নিয়ে গান বাঁধলেন কবীর সুমন! সেই “এসো সখী” এখন নেটিজেনদের খোরাক

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অপসারিত ডিনের নাম দেবপ্রসাদ শিকদার।  তিনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক। গত দু’বছর ধরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুষদের ডিন পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে পিএইচডি ডিগ্রি পান ওই অধ্যাপক। ‘এ কম্পারেটিভ স্টাডি অফ টিচিং বায়োলজি ইন ডিফারেন্ট কোর্সেস অ্যাট হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল’ নামে একটি থিসিস জমা দিয়েছিলেন তিনি ।

অধ্যাপক শান্তিনাথ সরকার বিষয়টি অনেক আগেই এই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। তিনি জানান,  ১৯৯৫ সালে স্বদেশরঞ্জন সামন্ত নামে অধ্যাপক ‘এ কম্পারেটিভ স্টাডি অফ টিচিং ফিজিক্স ইন ডিফারেন্ট কোর্সেস অ্যাট দা হায়ার সেকেন্ডারি লেভেলস ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল’ শীর্ষক একটি থিসিস আগেই জমা দিয়েছিলেন পরীক্ষকদের কাছে। তা মূল্যায়িতও হয়েছিল। সেই থিসিসটিই হুবহু নকল করে নিজের থিসিসটি লিখেছেন অধ্যাপক দেবপ্রসাদ শিকদার। এই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আরটিআই করেছিলেন শান্তিনাথ সরকার। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।

এরপর কেটে গেছে দুদশক। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির রিপোর্টে জানা যায়, অধ্যাপক স্বদেশরঞ্জন সামন্তের থিসিসের সঙ্গে প্রায় পুরোটাই মিলে গেছে দেবপ্রসাদ শিকদারের জমা দেওয়া থিসিস, যার ভিত্তিতে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছিলেন। থিসিস দুটির শিরোনামও প্রায় পুরোটাই এক, শুধু দেবপ্রসাদবাবুর থিসিসের শিরোনামে ‘ফিজিক্স’-এর বদলে ‘বায়োলজি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে সোমবার ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করে তদন্ত কমিটি।

এরপরেই ডিন পদ থেকে অপসারিত করা হয় অধ্যাপক দেবপ্রসাদ শিকদারকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নতুন অর্ডার না আসা পর্যন্ত শিক্ষাতত্ত্ব বিভাগের অনুষদের ডিন পদে আপাতত থাকবেন না দেবপ্রসাদ শিকদার। তবে শুধু অপসারণই নয়, তাঁর শাস্তিরও দাবি করা হয়েছে। যদিও অপসারিত ডিনের বক্তব্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

spot_img

Related articles

তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন অবৈধ, পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ হাইকোর্টের

তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে বড়সড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। চেয়ারম্যান চঞ্চল কুমার খাঁড়ার নির্বাচন পদ্ধতিকে অবৈধ ঘোষণা করল কলকাতা...

ফের রক্তাক্ত কোচবিহার: দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা

ফের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য কোচবিহারে। দিনহাটার (Dinhata) বাড়ি থেকে বেরোতেই গুলি চালানো হয় তৃণমূল নেতা মিঠুন রাজভরকে লক্ষ্য করে।...

টিউশন থেকে ফেরার পথে নাবালিকাকে গলার নলি কেটে খুনের চেষ্টা! চাঞ্চল্য মালদহে 

সাতসকালে নয়, একেবারে জনবহুল সন্ধ্যার অন্ধকারে ফেরার পথে নৃশংস হামলার শিকার হল এক স্কুলছাত্রী। সোমবার সন্ধ্যায় টিউশন পড়ে...

ক্ষত্রিয় সমাজ কার্যালয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিনিময় করলেন উৎসবের শুভেচ্ছা

উৎসবের মরসুমে শহর যখন আলোর সাজে সেজে উঠেছে, ঠিক তখনই জনসংযোগের চেনা মেজাজে ধরা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।...