হনুমানের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে অভিনব চাল পুলিশের! ফল মিলল হাতেনাতে

গাছে যেখানে খাবারের খোঁজে বেশি হানা দিত হনুমানরা। সাপের দাওয়াই ম্যাজিকের মতো কাজ করে। হাতেনাতে মেলে ফল। কেরলের থানার এমন অভিনব ঘটনা সামনে আসতেই থানার আধিকারিকদের কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটাগরিকরা।

হনুমানের (Monkey) দাপাদাপিতে কাজ করা দায়। এ তো আর যেমন তেমন কাজ নয়, প্রশাসনিক কাজ (Administrative Work)। দিনের পর দিন হনুমানদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে এবার পাল্টা চাল দিল কেরলের ইদ্দুকি জেলার কুমবামমেট্টু থানার (kumbammettu Police Station) আধিকারিকরা। নকল সাপে কিস্তিমাৎ।

জঙ্গলের কাছেই থানা। খাবারের খোঁজে প্রতিদিনই থানায় হানা দেয় হনুমানের দল। এসেই শুরু দাপাদাপি। থানার ভিতরে ঢুকে পুলিশের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটানোর পাশপাশি থানায় একাধিক সমস্যা নিয়ে আসা সাধারণ মানুষদেরও গভীর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। খোয়া যাচ্ছে থানার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিও। অত্যাচার মাত্রা ছাড়াতেই নড়েচড়ে বসেন থানার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। তখনই মাথায় আসে এক বুদ্ধি। সাপকে কাজে লাগাতেই মুশকিল আসান। বুনো ওলের দাওয়াই একেবারে বাঘা তেঁতুল। আর সাপকে কাজে লাগাতেই এক সেকেন্ডে হনুমানের দাপাদাপি কমে যায়। তবে আশ্চর্য বিষয় হল, এই সাপ আসল নয়। নকল রংবেরঙের প্ল্যাস্টিকের সাপ। বাজার থকে নকল সাপ কিনে এনে তা থানার একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিশেষত, গাছে যেখানে খাবারের খোঁজে বেশি হানা দিত হনুমানরা। সাপের দাওয়াই ম্যাজিকের মতো কাজ করে। হাতেনাতে মেলে ফল। কেরলের থানার এমন অভিনব ঘটনা সামনে আসতেই থানার আধিকারিকদের কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটাগরিকরা।

থানারই এক কর্মী জানিয়েছেন, হনুমানরা দলে দলে থানায় আসত। থানার বাগান তছনছ করা থেকে শুরু করে থানায় ঢুকে দৌরাত্ম্য করত। পাশের গ্রামের এক চাষির থেকে তাঁরা জানতে পারেন, ক্ষেত থেকে হনুমান তাড়াতে তিনি প্লাস্টিকের সাপ ব্যবহার করেন। তাঁর সেই পরিকল্পনাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেই হাতেনাতে ফল মেলে।

Previous articleলেজেন্ডস ক্রিকেট লিগে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসকে ৬ উইকেটে হারাল ইন্ডিয়া মহারাজাস
Next articleবাগুইআটি জোড়া খু*নে দিল্লি থেকে গ্রেফতার সুপারি কিলার কানাইয়া কুমার