নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে BJP-র প্রতিনিধি দল, ‘পরিযায়ী পাখি’ কটাক্ষ তৃণমূলের

নবান্ন অভিযানে পুলিশি হিংসার অভিযোগ তুলে রাজ্যকে চাপে ফেলতে তৎপর হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। শনিবার রাজ্যে পা দেখেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আক্রান্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছেন নেতারা। এদিনও কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের আঘাত ও চিকিৎসা সংক্রান্ত খোঁজখবর নেন সুনীল বনশল, আশা লাকড়ারা।

রবিবার আমহার্স্ট স্ট্রিট, বেলেঘাটায় জখম দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যান সুনীল বনশল এবং আশা লাকরা। সঙ্গে ছিলেন উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি কল্যাণ চৌবে। এদিন সকালে প্রথমে আমহার্স্ট স্ট্রিটে সুবোধ দাসের বাড়িতে যান তাঁরা। সেখানে জখম কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। মেডিক্যাল রিপোর্টও দেখেন। এরপর তাঁরা চলে যান বেলেঘাটার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মী রীতা রজকের বাড়িতে। তাঁর এক্স রে রিপোর্ট দেখেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পাশে থাকার বার্তা দিয়ে চলে আসেন নবান্ন অভিযানে জখম কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়িতে। তাঁর সঙ্গেও বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন।

এদিকে এদিকে নবান্ন অভিযান কতটা ফলপ্রসূ হল তা বুঝে নিতে রবিবার বিকেলে দলের কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সোমবারও রয়েছে বৈঠক। সেখানে দলের জেলা, মোর্চার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এদিকে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, নবান্ন অভিযানে মাঝ পথেই রণে ভঙ্গ দিয়েছিল রাজ্য বিজেপির ৩ শীর্ষ নেতা। যে ঘটনায় দলীয় কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খেয়েছে এহেন পরিস্থিতিতে কর্মীদের পাশে আছি বার্তা দিতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অবশ্য বিজেপি এই নাটককে একেবারেই পাত্তা দিয়ে নারাজ তৃণমূল। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকদের সফরকে ‘সাইবেরিয়ার মরসুমি পাখির মরসুমি সফর’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা পর্যবেক্ষক কুণাল ঘোষ। বলেন, এর আগে এরকম অনেক নেতা এসেছেন-গিয়েছেন। সাইবেরিয়ার পাখিরা আসা-যাওয়া করে। বিজেপি ত্রিপুরায় মতো গুন্ডামি করেছে। সত্যি অবস্থা জানতে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন উপ নগরপালকে দেখতে যেতে পারতেন। দিল্লির দম দেওয়া পুতুল ওঁরা। এসব করে কোনও লাভ হবে না।”