পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনাঘাঁটি সরিয়ে নিচ্ছে চিন

লাদাখের এই বিতর্কিত অঞ্চল থেকে দু পক্ষের সৈন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৫ বার বৈঠকে বসেছিলেন ভারত এবং চিনের সেনা কর্তারা। কিন্তু কেউই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে নি

পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ অঞ্চল থেকে সেনাঘাঁটি সরিয়ে নিচ্ছে চিন। প্রায় দুই বছর ওই অঞ্চল দখল করে রেখেছিল চিন।  সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে, এই অঞ্চল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভিতরে সরে যাচ্ছে চিনের সেনা। ২০২০ সালের পর ওই অঞ্চলে চিন যে সব বড়সড় নির্মাণ কাজ চালাচ্ছিল, সেগুলোর অধিকাংশেরই আর কোনও অস্তিত্ব নেই।

জানা গিয়েছে, লাদাখের এই বিতর্কিত অঞ্চল থেকে দু পক্ষের সৈন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৫ বার বৈঠকে বসেছিলেন ভারত এবং চিনের সেনা কর্তারা। কিন্তু কেউই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে নি। শেষ বৈঠক হয় চলতি বছরের ১৭ জুলাই। ওই বৈঠকে ঠিক হয়, দুই দেশ ওই এলাকায় কোনও অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করবে না এবং পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে চলবে। উভয় পক্ষই ২০২০-র আগের অবস্থানে ফিরে যাবে বলেও স্থির হয় ওই বৈঠকে। অবশ্য স্যাটেলাইট চিত্র থেকে এটা স্পষ্ট নয় যে, বাফার এলাকায় চিন তাদের সৈন্যকে সরিয়েছে কি না।

২০২১ এর অগাস্ট মাসে দেখা গিয়েছিল, ভারতীয় সৈন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যেখানে টহল দিত, সেখানে সেনাঘাঁটি বানিয়েছে চিন। ঘাঁটিটির পূর্বে যুদ্ধের অবস্থান এবং পদাতিক অবস্থানের জন্য বাঙ্কার তৈরী করেছিল। এর পশ্চিমে একটি ছোট পোস্টও ছিল। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বরের উপগ্রহ চিত্রে সেগুলোর কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এবং নির্মাণের ধ্বংসাবশেষ এই স্থান থেকে উত্তরে একটি অস্থায়ী অবস্থান বলে মনে করা হচ্ছে।

আরেকটি চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে চিনাদের খালি করা সাইটের ল্যান্ডফর্মটি উভয় পক্ষের দ্বারা ঘোষিত বিচ্ছিন্নতা চুক্তির লাইন বরাবর পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।লাদাখের স্থানীয় কাউন্সিলররা জানিয়েছেন,  চুক্তির অংশে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে তাদের নিজস্ব পোস্টগুলি সরিয়ে ফেলেছে । যদিও এই প্রতিবেদনের চিত্রগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবস্থানগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছে কিনা দেখাচ্ছে না। তবে এটা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে চিন সেই অঞ্চলের মধ্যে একটি ঘাঁটি সরিয়ে নিয়েছে।

 

Previous articleDengue: নভেম্বর পর্যন্ত থাকবে ডেঙ্গির প্রকোপ আশঙ্কা স্বাস্থ্য ভবনের
Next article২৮ নয় পুরো ৩০ দিনের প্ল্যান দিতে হবে গ্রাহকদের, মোবাইল সংস্থাগুলিকে কড়া নির্দেশ TRAI-এর