চিতা মোদির নয়,ইউপিএ সরকার আমলেই প্রস্তাবে অনুমোদন,দাবি কংগ্রেসের

0
2

ভারতে এসে পৌঁছেছে ৪টি চিতা। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে এই চার চিতাকে খাঁচামুক্ত করেন স্বয়ং মোদি। তবে চিতা মোদির নয়। ‘প্রজেক্ট চিতা’-র প্রস্তাব ২০০৮-২০০৯ সালে তোলা হয় বলেই দাবি কংগ্রেসের। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার এর অনুমোদন দিয়েছিল। পাশপাশি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছার সঙ্গে সঙ্গে ‘চিতা তামাসা’ চলছে বলেও আক্রমণ করেছে কংগ্রেস।

আরও পড়ুন:Jalpaiguri: চিতাবাঘ-রেড পান্ডার চামড়া পাচার রুখে দিল বন দফতর 

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, দেশের একাধিক জলন্ত ইস্যুকে সামনে রেখে ‘‌ভারত জোড়ো’‌ যাত্রা করছেন রাহুল গান্ধী। আর সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই মোদির এই সার্কাস।’‌
একটি টুইটে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা লেখেন,পঞ্চাশের দশকে দেশ থেকে অবলুপ্ত ওই চিতা ভারতে আনার জন্য সরকার এক দশক ধরে চেষ্টা করছে। শুরু হয়েছিল ইউপিএ সরকারের আমলে। রমেশ আরও লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ যে তামাশা সাজিয়েছেন তা অযৌক্তিক এবং এটি ভারত জো‌ড়ো যাত্রা থেকে মানুষের মুখ ঘোরানোর চেষ্টা।’‌
কংগ্রেস জানিয়েছে, ২০১৩ সালে শীর্ষ আদালতে চিতা আনার প্রকল্পটি স্থগিত করেছিল। ২০২০ সালে ‘প্রজেক্ট চিতা’ আনার অনুমতি দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার চিতা আউটরিচ সেন্টারে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ।

এমনকি এই প্রজেক্ট চিতা নিয়ে ক’‌য়েক সপ্তাহ আগে একটি দৈনিকে বিস্তারিত তথ্য লিখেছিলেন জয়রাম রমেশ। ১৯৫২ সালে ভারতে চিতাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর ইন্দিরা গান্ধীর আমল থেকেই চিতাকে আনার তোড়জোড় শুরু হয়।এরপর তৎকালীন বন ও পরিবেশমন্ত্রীর উদ্যোগে তা অগ্রগতি লাভ করে।