বিজেপি-র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা আসলে ‘সাইবেরিয়ার পরিযায়ী পাখি’ ! কটাক্ষ কুণালের

এরই পাশাপাশি মদন মিত্রকে (Madan Mitra) নিয়ে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Prasun Banerjee) করা প্রকাশ্য মন্তব্যেরও বিরোধিতা করেন তিনি ৷

বিজেপি-র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা শহরে পা রেখেই সক্রিয়তা দেখাতে ব্যস্ত। তাদের ‘সাইবেরিয়ার পরিযায়ী পাখির ঝাঁক’ (Migrant Bird of Siberia)-এর সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ! এরই পাশাপাশি মদন মিত্রকে (Madan Mitra) নিয়ে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Prasun Banerjee) করা প্রকাশ্য মন্তব্যেরও বিরোধিতা করেন তিনি ৷

রবিবার হাওড়ার একটি স্কুলে ফুটবল ম্যাচ এর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন কুণাল ৷ সেখানেই বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল নিয়ে কুণাল বুঝিয়ে দেন, গেরুয়া শিবিরের এই তৎপরতাকে আমল দিচ্ছে না দল ৷ এমনকী, বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এবং বিভিন্ন সময় দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়া নেতাদের কড়া ভাষায় আক্রমণও করেন তিনি ৷
কুণালের দাবি, বিজেপি আসলে বাংলায় ‘বালির ঘর’ তৈরি করছে ৷ একটা ‘ঢেউ’ এলেই এই ঘর ভেঙে যাবে ৷ তাঁর সাফ কথা, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁদের দলের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে ৷
কুণাল মনে করিয়ে দেন,‌ এর আগে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় এসে অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন ৷ কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি ৷ শেষমেশ জয় হয়েছে তৃণমূলেরই ৷ আগামিদিনেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে ৷ তাই বিজেপির কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে এলেও রাজনৈতিকভাবে তারা কোনও সুবিধা করে উঠতে পারবে না বলে সাফ জানান কুণাল ৷
এর পাশাপাশি, প্রসূনের মদন-মন্তব্য নিয়ে কুণাল বলেন, “একজনের প্রতি অন্য ব্যক্তির নিজস্ব শ্রদ্ধা, সম্মান থাকতেই পারে ৷ কিন্তু, সবসময় সেগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ না করাই ভালো ৷ বিশেষ করে রাজ্য মন্ত্রিসভায় কে থাকবেন, আর কে থাকবেন না, তা একেবারেই মুখ্যমন্ত্রীর এক্তিয়ারভুক্ত বিষয় ৷ এ নিয়ে কারও ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে ৷ কিন্তু, সেই মতামত কখনই সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করা উচিত নয় ৷” কুণালের মতে, সাময়িক আবেগের বশেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মদন মিত্র সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মন্তব্যটি করেছিলেন ৷

 

Previous articleসুনীলের স্বপ্নপূরণ, ডুরান্ড কাপ জয় বিএফসির
Next articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ