প্রোজেক্ট চিতা: এবার যুদ্ধক্ষেত্রে মারণ ড্রোন বাহিনী গঠনে উদ্যোগী ভারতীয় সেনা

দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের দিকে নজর রয়েছে প্রতিবেশী চিন(China) ও পাকিস্তানের(Pakistan)। সুযোগ সন্ধানী এই দুই দেশকে উচিত শিক্ষা দিতে প্রস্তুতি শুরু করে দিল ভারত। দেশের সেনাবাহিনীকে আরও মজবুত করতে ভারত শুরু করতে ‘প্রোজেক্ট চিতা'(Project Cheeta)। যার মাধ্যমে ইজরায়েল থেকে কেনা ড্রোনগুলিকে সশস্ত্র করে তোলার প্রস্তুতি শুরু করে দিল ভারতীয় সেনা। যার জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে স্বদেশী অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থাগুলিকে।

কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইজরায়েল থেকে হেরোন ড্রোনগুলি ২৫০ কেজি ওজন বহন করতে সক্ষম। এই ড্রোনগুলিকেই ব্যবহার করা হবে প্রোজেক্ট চিতা প্রকল্পে মিসাইল বহনকারী ড্রোন হিসেবে। এই ড্রোনে রয়েছে থার্মোগ্রাফিক ক্যামেরা, রাডার সিস্টেম, চালকদলের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ড্রোনটি নিজেই কমান্ড সেন্টারে ফিরে আসতে পারে। চিনের ধাঁচে ২০১৮ সাল থেকেই এই ড্রোন ফোর্স গঠন করতে উদ্যোগী ভারত। যদিও এক্ষেত্রে দেশের ৩ সেন বাহিনির জন্য আলাদা আলাদা করে ফোর্স গঠন করা হচ্ছে না। যার পরিবর্তে একটাই বিশাল ড্রোন ফোর্স গঠন করা হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে ড্রোন বা চলকবিহীন বিমান। আকাশ থেকে শত্রুপক্ষকে ছারখার করে দিতে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে ড্রোন বাহিনী৷ সেনাঘাঁটি থেকে রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে শত্রুর ডেরায় নিক্ষেপ করা যেতে পারে ক্ষেপণাস্ত্র৷ লড়াইয়ের ময়দানে ড্রোনবাহিনী যে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলা যুদ্ধে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বিরাট রুশ ট্যাঙ্কবাহিনীকে কীভাবে ইউক্রেনের ড্রোন গুঁড়িয়ে দিয়েছে তা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

Previous article‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ মহিলাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে: বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী শশী
Next articleগ্রেফতার ভাদু শেখ খু*নের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত সোনা শেখ