১৮৯ ভোটে বিধানসভায় পাশ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব

বিধানসভা ভবন

প্রত্যাশা মতোই বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED, CBI-এর অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব। এদিন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৮৯ টি এবং বিপক্ষে ৬৪ টি ভোট পড়েছে। নজিরবিহীনভাবে এদিন কোনও রকম হট্টগোল ছাড়াই বিধানসভায় শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় অধিবেশন। প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন বিধানসভায় এই প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইডি ও সিবিআই হল কেন্দ্রীয় সরকারের গেম প্ল্যান। যদিও প্রধানমন্ত্রী নিজে এর সঙ্গে জড়িত নন বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি ২০১৬ ও ২০২১ সালেও বিজেপি একই রকম চক্রান্ত করেছিল, কিন্তু সফল হয়নি। ২০২৪ এর আগেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছে বিজেপি। যদিও তাতে লাভ হবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাত্রী তিনটে, পাঁচটা, যখন খুশি চলে যাচ্ছে।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একচোখামির উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সারদা, নারদায় ববির ডাক পড়বে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ডাক পড়েছে, তাপস পালের ডাক পড়েছে, কিন্তু আপনাদের বাড়িতে কটা রেড হয়েছে? আমার দলের নেতাদের শুধু ডাকছে।”

উল্লেখ্য, সোমবার বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে ১৬৯ ধারায় এই নিন্দা প্রস্তাব আনা হয় শাসকদলের তরফে। প্রস্তাব পেশ করেন বিধানসভার মুখ্য সচেতক তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ(Nirmal Ghosh)। নিন্দা প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ইডি ও সিবিআইয়ের অতি তৎপরতার জন্যই এই রেজোলিউশন। ইডি ও সিবিআইয়ের অতি তৎপরতা একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শাসকদলের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদেরই হেনস্থা করা হচ্ছে। বিরোধী দলের যাঁদের চিটফান্ডের সঙ্গে যোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

 

Previous articleঅর্শদীপের প্রশংসায় রোহিত, বললেন অর্শদীপ আসায় বোলিংয়ে বৈচিত্র এসেছে
Next articleসুনীলের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ‍্যপালকে কটাক্ষ শ‍্যালক সাহেব ভট্টাচার্যের