আদিবাসী সংগঠনের আন্দোলনে থমকে হাওড়া ব্রিজ ও সংলগ্ন এলাকা

দেউচা পাচামি ইস্যুতে আদিবাসী সংগঠনের মিছিল ঘিরে ব্যাপক ঘিরে যানজট।নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাদের ধর্মীয় স্থান ধ্বংস করে নির্মাণ চালানো হচ্ছে।তাই হাওড়া স্টেশন থেকে রানি রাসমনি রোডে মিছিল করে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দিতে এসেছেন আন্দোলনকারী আদিবাসীরা। কিন্তু এর জেরে থমকে যায় যান চলাচল। হাওড়া ব্রিজজুড়ে শুধুই হলুদ পতাকা হাতে শুধুই আদিবাসী মানুষের ভিড়। অফিস টাইমে কলকাতায় আসার মূল প্রবেশদ্বারে মিছিল হওয়ায় একে একে এমজি রোড, উত্তর কলকাতামুখী সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, ধর্মতলা চত্বর-সহ মধ্য কলকাতা থমকে যায়।

আরও পড়ুন:আজও অব্যাহত কুড়মিদের আন্দোলন, ভোগান্তিতে বহু মানুষ

জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসীদের সংগঠনের ভারত জাকাত মাঝি পরগণা মহলের নেতৃত্বে ধর্মীয় উপাসনার অধিকারের দাবিতে এই আদিবাসীরা পথে নামেন। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে তাঁদের দেবতা মারানবুড়ুর উপাসনা স্থল।তাঁদের অভিযোগ, সেখানে ওই ধর্মীয় স্থলটি ধ্বংস করে নির্মাণ চালানো হচ্ছে। তাই তার প্রতিবাদে আজ সকালে ডেপুটেশন জমা দিতে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছন। তারপর  রানি রাসমনি রোডে মিছিল করে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। আর এই মিছিলের জেরেই আটকে পড়েন নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে  হাসপাতালের রোগীরাও। স্বভাবতই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁরা।

একদিকে কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনের জেরে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পুজোর আগে এই আন্দোলনের ঘটনায় বিপর্যস্ত পরিষেবা। অন্যদিকে  শুক্রবার সকালে আরেক নতুন দাবিতে আরও একটি জনগোষ্ঠীর আন্দোলনের জেরে নাজেহাল অবস্থা যাত্রীদের।

সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের উপরে আদিবাসীদের দেবতা মারানবুড়ুর উপাসনা স্থলে টুরগা পাম্প স্টোরেজ প্রজেক্ট নামে একটি নির্মাণ হচ্ছে। সেই নির্মাণের জেরেই নষ্ট হচ্ছে আদিবাসীদের ধর্মীয় স্থান। তাই ডেপুটেশন জমা দিতে এসেছে তারা।

Previous articleমোদি জমানায় টাকার পতনের নয়া রেকর্ড! ডলারের দাম ছাড়িয়ে গেল ৮১ টাকা
Next articleআসানসোল শ্যুট আউট, কারখানার ভিতর গুলিতে মৃত নিরাপত্তারক্ষী