Sunday, August 24, 2025

‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প অবৈধ। কারণ, এটি ২০১৩ জাতীয় সুরক্ষা আইনের পরিপন্থী বলে রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার, বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের মতে, এই আইনে এই প্রকল্পের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকার তার বক্তব্য উচ্চ আদালতে জানাবেন। কিন্তু আমরা সরাসরি জনতার আদালতে যাব। মানুষ উপকার পাচ্ছিলেন। যেটা কেউ ভাবেনি সেটা মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছেন। শুধু তাই নয় আরও একাধিক রাজ্য এই মডেলকে অনুসরণ করছিল।
দুয়ারে রেশন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য এই প্রকল্পটি চালু করেন। রেশন যাতে একেবারে বাড়িতে পৌঁছে যায়, বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ মানুষরা যাতে রেশনের সুবিধা সহজেই পান সেই কারণেই এই ব্যবস্থা। বিপুল অঙ্কের মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু ডিলারদের একটি অংশ তারা আদালতে গিয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে যে এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প করা যাবে না।তিনি বলেন, রাজ্য সরকার তো রেশনটা নিয়ে যাচ্ছিলেন মানুষের কাছে, পরিবারের কাছে। রেশন আনতে ডিলারের কাছে যাওয়া আর রেশন বাড়ি পৌঁছে যাওয়া, দুটোর মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। সেটাই এই সরকার করছিল। কলকাতা হাইকোর্ট যে আইনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই, ওটা আইনের বিষয়।
কুণালের সাফ কথা, সাধারণ মানুষ যারা পরিষেবা পাচ্ছিলেন তারা দেখবেন যে তাদের পরিষেবাটা কেন বন্ধ হচ্ছে। বিরোধী দল কিভাবে চক্রান্ত করছে। বিরোধীদল গুলি পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন রেশন বাড়িতে পৌঁছে দিতে, আর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পৈশাচিক আনন্দে মেতেছে বিরোধী দলগুলি বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল মুখপাত্র।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version