মধ্যপ্রদেশের উমুরিয়া জেলার বান্ধবগড়ের জঙ্গলে জাতীয় পত্নতত্ত্ব বিভাগ কার্যত রত্ন ভান্ডারের খোঁজ পেল। জঙ্গলের গহীনে দুই থেকে পঞ্চম শতাব্দীর ২৬ গুহায় সহ ২৬ প্রাচীন মন্দিরের খোঁজ পেল পত্নতত্ত্ব বিভাগ। যে মন্দিরে ভগবান বিষ্ণুর শয়ন মুদ্রার বিগ্রহ ও বিশাল বিশাল বরাহ প্রতিমা পাওয়া গিয়েছে। প্রাচীন এই মূর্তি ও মন্দিরের অনুসন্ধান যে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক বিরাট বড় সাফল্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনুসন্ধান পর্ব আগামী দিনেও জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের তরফ।

ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান শিবাকান্ত বাজপেয়ী এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বান্ধবগড় ব্যাঘ্র প্রকল্পের ১১০০ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই অঞ্চলের মাত্র একটি অংশে মাত্র ১৭০ কিলোমিটার অঞ্চলে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। সেখানে যে গুহাগুলি পাওয়া গিয়েছে তা মনুষ্যসৃষ্ট। এই গুহায় বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত বহু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এখনো বেশিরভাগ অংশে খোঁজ চালানো বাকি। যদিও ব্যাঘ্র প্রকল্পের এই এলাকায় অনুসন্ধান চালানো একেবারেই সহজ বিষয় নয়। বনদপ্তরের অনুমতি নিয়েই এই অনুসন্ধান চালানো হয়।
জানা গিয়েছে, এই ২৬টি মন্দিরই কালচুরির সময় অর্থাৎ ৯ থেকে ১১ শতকের বৌদ্ধ যুগের মন্দির। দুটি বৌদ্ধ বিহার, দুটি স্তূপ, ২৪টি ব্রাহ্মী লিপি, ৪৬টি মূর্তি এবং দ্বিতীয় শতক থেকে ১৫শ শতকের ১৯টি জলীয় কাঠামো পাওয়া গেছে। যে ৪৬টি মূর্তি পাওয়া গেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মূর্তি বরাহের। এই গুহাগুলিতে বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কিত অনেক রোমাঞ্চকর তথ্য সামনে এসেছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অনুমান, এই সমস্ত মূর্তি এবং মন্দির রাজা ভীম সেন, মহারাজ পোতাশ্রী, মহারাজ ভট্ট দেবের সময়কালে নির্মিত।

In Bandhavgarh Forest Reserve, remarkable archaeological remains unraveled by @ASIGoI. In an exploration 26 temples, 26 caves, 2 monasteries, 2 votive stupas, 24 inscriptions, 46 sculptures, other scattered remains & 19 water structure are recorded. (1/3) pic.twitter.com/wIZ71B5fkQ
— Archaeological Survey of India (@ASIGoI) September 28, 2022
শুধু তাই নয়, এখান থেকে একটি বরাহ মূর্তি পাওয়া গিয়েছে, যেটি ৬.৪ মিটার লম্বা, ৫.৩ মিটার উঁচু এবং ২.৭৭ মিটার চওড়া। এখনও পর্যন্ত পাওয়া বরাহের সমস্ত মূর্তি থেকে এটি বহুগুণ বড়। এর সাথে, বান্ধবগড়ে পাওয়া দুটি নতুন মন্দিরের খোঁজ এখানকার মন্দিরগুলির স্থাপত্যের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। এখানে অবস্থিত মন্দির এবং মঠগুলি বান্ধবগড়ে মত্তমায়ুর সম্প্রদায়ের অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।
