মিলে গেল আবহাওয়ার পূর্বাভাস, দুর্গার বোধনেই তিলোত্তমায় উৎসবের তাল কাটল বৃষ্টি

বোধনেই শুরু বৃষ্টি। তবে আশঙ্কা শেষ এখানেই নয়। পুজোর বাকি দিনগুলিতেও বৃ্ষ্টির প্রবল সম্ভাবনা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যা নিম্নচাপের রূপও নিতে পারে

আশঙ্কা সত্যি করে মিলে গেল আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। তিলোত্তমার বুকে দুর্গার বোধনেই উৎসবের তাল কাটল তুমুল বৃষ্টি। পুজো ভাসাবে বৃষ্টি, মন খারাপ করার মতো হলেও রূঢ় বাস্তবকে মেনে নিয়ে শুরু থেকেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল এমনটাই। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের মূল দিনগুলিতে পিছু ছাড়বে না বৃষ্টি। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলা ও কলকাতায় বরুণ দেব করুণ পরিণতি তৈরি করবেন। তাই মহালয়ার পর থেকেই বাঙালি ছিল উৎসবমুখর। দিন হোক, রাত কিংবা ভোর, ভিড় , মণ্ডপে মণ্ডপে উপচে পড়ছে ভিড়। সপ্তমী টু নবমী ঘূর্ণাবর্ত-এর জেরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। কোথাও কোথাও আবার ভারী বৃষ্টি। তাই ষষ্ঠীর সন্ধেয় মণ্ডপে মণ্ডপে তখন উপচে পড়া ভিড় শুরু। কিন্তু তখনই বৃষ্টি নামল কলকাতায়। রীতিমতো মুষলধারায় বৃষ্টি হল শহরে। বাদ গেল না হাওড়া ও সল্টলেকও।

করোনা মহামারি আবহে গত দু’বছর বিধিনিষেধের জেরে কার্যত বন্দিদশাতেই পুজো কাটাতে হয়েছে কলকাতা তথা রাজ্যবাসীকে। তবে অতিমারি কাটিয়ে এবছর সেই চেনাছন্দে পুজোর বাংলা। উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেছে আট থেকে আশি। কিন্তু কলকাতা, সল্টলেক, নিউটাউন ও হাওড়ায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে মণ্ডপেই আটকে পড়লেন দর্শনার্থীরা। তখন সকলের চোখেমুখে হতাশার বহিঃপ্রকাশ।

বোধনেই শুরু বৃষ্টি। তবে আশঙ্কা শেষ এখানেই নয়। পুজোর বাকি দিনগুলিতেও বৃ্ষ্টির প্রবল সম্ভাবনা। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যা নিম্নচাপের রূপও নিতে পারে। যার প্রভাবে সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত টানা প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে।

আরও পড়ুন- বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান: প্রথম পুরস্কার পেল ফিরহাদ হাকিমের পুজো তথা চেতলা অগ্রণী

Previous articleবিশ্ববাংলা শারদ সম্মান: প্রথম পুরস্কার পেল ফিরহাদ হাকিমের পুজো তথা চেতলা অগ্রণী
Next articleজয় দিয়ে এশিয়া কাপের অভিযান শুরু করল হরমনপ্রীতরা