Saturday, August 23, 2025

লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর সেই মতোই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। বিজেপি বিরোধী জোটের অংশ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাওয়া তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (K Chandrasekhar Rao) বদলে ফেললেন নিজের দলের নাম। তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (TRS) থেকে নাম হল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS)।

ঘড়ি ধরে নির্ঘণ্ট মেনে বুধবার দুপুর ১টা বেজে ১৯ মিনিটের দলের নতুন নাম দিলেন কেসিআর। এর আগে দলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে দলের নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেন। নাম ঘোষণা হতেই আবির মেখে, বাজি ফাটিয়ে উৎসব পালন করেন দলের কর্মী-সদস্যরা। দলের নয়া নামকরণের বিষয়টি ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে।

এবার জাতীয় দলের স্বীকৃতি চাইছে BRS। জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছু নিয়ম রয়েছে। যে কোনও রাজনৈতিক দলেরই কমপক্ষে চারটি রাজ্যে অস্তিত্ব থাকা বাধ্যতামূলক।
অথবা চার রাজ্যের যে কোনও একটিতে এবং চারটি লোকসভা আসনে ভোটের শেয়ার অন্তত ৪ শতাংশ হতে হবে।

লোকসভা নির্বাচনে অন্তত তিনটি রাজ্যে যদি কোনও দলের ভোট শেয়ার ২ শতাংশ থাকে, সে ক্ষেত্রেও জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ার নয়। কিন্তু কেসিআর-এর দলের শুধুমাত্র তেলঙ্গানাতেই অস্তিত্ব রয়েছে। সুতরাং অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করতে গেলে নামের মধ্যে প্রাদেশিকতার গন্ধ থাকলে সমস্যা হতে পারে। সেই জন্যেই ‘তেলেঙ্গানা’-র বদলে ‘ভারত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এদিন, দলের নয়া নামকরণের অনুষ্ঠানে ছিলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, ডিএমকে সহযোগী টি তিরুমাবালন।

২০২৪-এর বিজেপি হঠাৎ এ তিনি অবিজেপি দলগুলির সঙ্গে থাকবেন বলে অনেকবার জানিয়েছেন কেসিআর। মোদি-বিরোধিতা প্রমাণ করতে তেলঙ্গানা সফরে গেলেও তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতেও দেখা যায়নি কেসিআর-কে। কংগ্রেসের সঙ্গেও তিনি যেতে চান না। সে ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধীদলগুলির মুখ হওয়ার চেষ্টা করছেন চন্দ্রশেখর রাও। সেই কারণেই ‘তেলেঙ্গানা’ হয়েছে ‘ভারত’।

বিজেপি বিরোধী সব শক্তিকে একমঞ্চে আনতে গত কয়েক মাসে দফায় দফায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay), দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গেও দেখা করেছেন কেসিআর। নভেম্বরে তেলঙ্গানায় উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানেই নয়া নামে লড়তে চান তিনি। এ ছাড়াও মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, দিল্লি, গুজরাটের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান কেসিআর। সেই সব পরিকল্পনা করেই নাম পরিবর্তন। তবে নাম বদলালেও, দলের প্রতীকচিহ্ন একই থাকছে।

আরও পড়ুন- ইছামতীর তীরে দুই বাংলা মিলেমিশে একাকার, ভৌগলিক বিভাজন ভুলে মাতল প্রতিমা বিসর্জনে


 

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version