দু’বছর পর ফের রেড রোডে ফিরছে দুর্গাপুজো কার্নিভাল। মূলত, বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুজোকমিটি বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি-উৎসবকে তুলে ধরে। এই কার্নিভালের আয়োজক পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার পর এবার কার্নিভালকে কেন্দ্র করে অনেক বেশি উন্মাদনা।

এদিকে কার্নিভাল উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অন্যান্য জগতের মানুষ কার্নিভালে উপস্থিত থাকবেন। থাকবেন প্রচুর সাধারণ মানুষও। ফলে শুক্রবার রাত থেকেই রেড রোড সহ ময়দান চত্বরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী সহ বিদেশি অতিথিদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই রেড রোড ও সংলগ্ন এলাকাকে ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছে।

প্রতিটি জোনের দায়িত্বে থাকছেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা। এরমধ্যে ১২ নম্বর জোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই রয়েছে মূল মঞ্চ, তাই মুখ্যমন্ত্রী সহ বিদেশি অতিথিদের সুরক্ষার বিষয়। কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ) আকাশ মাঘারিয়া এই জোনের দায়িত্বে। তাঁকে সাহায্য করবেন ডিসি (সেন্ট্রাল-২) নমরোজ আহমেদ খান। এই জোনেই ভিআইপি কার পার্কিং সহ মূল মঞ্চ সংলগ্ন এলাকা রয়েছে। পুরো অনুষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে চালনা করতে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির পাশে তৈরি হয়েছে একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল পোস্ট। এছাড়াও ৮টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করেছে কলকাতা পুলিস। মূল মঞ্চ সহ ভিআইপি কার পার্কিং এলাকায় শুক্রবার দফায় দফায় তল্লাশি চালানো হয়েছে।

এছাড়া কার্নিভাল চলাকালীন চৌরঙ্গি রোড, এজেসি বোস রোড এবং স্ট্র্যান্ড রোডে দু’টি অ্যান্টি ক্রাইম টিমকে টহলদারি করতে বলা হয়েছে। চারটি কুইক রেসপন্স টিম, আটটি মোটর সাইকেল টিম টহল দেবে গোটা এলাকা। যারা রেড রোডে ঢুকতে পারবেন না, তাঁদের জন্য লাভার্স লেন, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড, বঙ্গবাসী প্যারেড গ্রাউন্ডের মতো পাঁচটি স্থানে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দর্শকদের সাহায্য করতে ছ’টি জায়গায় পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ তৈরি করেছে। তৈরি রাখা হয়েছে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও দু’টি ডিএমজি টিম।