বিশ্বজুড়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন ১০০ কোটি মানুষ, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট ল্যানসেটের

মনের রোগ মোটেই হেলাফেলার বিষয় নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মনের রোগের(mental helth) সমস্যা প্রকাশ্যে আনতে চান না মানুষ। যা আগামী দিনে গুরুতর আকার ধারণ করে। বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস কোলেস্টরলের মত অবসাদও(depression) ছেয়ে যাচ্ছে আরো আরো মানুষের মধ্যে। এই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েই এবার এক ভয়াবহ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনলো ল্যানসেট(lanset)।

‘ল্যানসেট কমিশন অন এন্ডিং স্টিগমা অ্যান্ড ডিসক্রিমিনেশন ইন মেন্টাল হেলথ’ এর সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। গড় করলে দাঁড়ায় বিশ্বে প্রতি আট জনের মধ্যে এক জন মানুষ এই সমস্যায় জর্জরিত। শুধু তা-ই নয়, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের সাত জনের মধ্যে এক জন মানসিক উদ্বেগে ভুগছেন— এই চিত্রটিও বেশ চিন্তার বিষয়। রিপোর্টের আরো দাবি করোনা কালে এই মানসিক সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।

করোনা কালে মানসিক সমস্যা কাটানোর জন্য নানান সময় নানান জায়গায় শুরু হয় প্রচার। সে প্রচার অবশ্য এখনো চলছে, তবে তাতে উন্নতি বিশেষ কিছু চোখে পড়েনি। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কিছু হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেই মুশকিল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কারও যদি মনঃসংযোগে সমস্যা হয়, অবসন্ন লাগে, কাজের ইচ্ছে চলে যায়, ধরে নেওয়া হয় মস্তিষ্কে ডোপামিনের মাত্রা কমে গিয়েছে। সেরোটোনিনের নেতিবাচক প্রভাব খুব বেশি। যেমন, হাল ছেড়ে দেওয়া, অপরাধবোধে ভোগা, আত্মহত্যার প্রবণতা— ইত্যাদি উপসর্গ বোঝায় সেরোটোনিনের মাত্রার হেরফের। এর প্রকাশও অনেক বেশি। ঘুমের চক্র বিঘ্নিত হওয়া, যৌনইচ্ছা কমে যাওয়াও এর অন্যতম উপসর্গ। নরএপিনেফ্রিনের ক্ষেত্রে শারীরিক উপসর্গ বেশি প্রকট। সারা শরীরে ব্যথা বা জ্বালা করা, চিনচিন করার মতো লক্ষণ দেখা যায়। এ রকম কোনও সমস্যা দেখা দিলেই মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে। অন্য কি ভাববে এ কথা না ভেবে নিজের সমস্যার সমাধান করাটাই হলো আসল বুদ্ধিমানের কাজ।

Previous articleনয়া নজির রোনাল্ডোর, ক্লাব ফুটবলে ৭০০ গোল পূর্ণ করলেন CR7
Next articleপুজোর ছুটির জেরে ফের পিছোচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া!