মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সোমবার গভীর রাতে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তিনি যে দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় যুক্ত সেই সংক্রান্ত মামলার একাধিক নথি এদিন বিচারক আনন্দ শংকর মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে জমা করে ইডি।

এদিন ইডির তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, ” ৭ লক্ষ টাকা করে ৪৪ জন প্রার্থী টাকা দিয়েছিল চাকরির জন্য। ৫১৪টি ইনস্টিটিউশন ৫০ হাজার টাকা করে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের ইনস্টিটিউটে চাকরির জন্য দিয়েছিল। কিন্তু চাকরি হয়নি। একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মানিক পুত্রের কন্সালটেন্সি থেকে ২.৬৪ কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে।তিনি আরও বলেন, “বেঙ্গল টিচার্স ইন্সটিটিউশন থেকে এসেছে সেই টাকা। বেশ কিছু ব্যাংক স্টেটমেন্ট পাওয়া গিয়েছে। ফ্যামিলি মেম্বারদের সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ও অপরিচিত লোকের সঙ্গে রয়েছে। যেখানে প্রচুর টাকা আছে। ঘুষ যারা দিতে পারেনি তারা সরকারি স্কুল, কলেজে চাকরি পায়নি যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও । এমন হাজার হাজার প্রার্থী কাঁদছে। অন্তত ১৪ দিনের ইডি হেফাজত দেওয়া হোক।”
মানিক ভট্টাচার্যর আইনজীবী (সঞ্জয় দাশগুপ্ত ) এর পালটা বলেন, “জামিনের আবেদন করিনি আমরা। ইডি হেফাজতের বিরোধীতা করছি। ইডির আইনজীবী কান্নার কথা বলছেন। কাঁদলে অনেক কান্না জমে রয়েছে সবার। ইডি অলরেডি চার্জশিট জমা দিয়েছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেছেন মানিকবাবু। হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মূল মামলা হল সিবিআই’য়ের। কোনও এফআইআর-এ ওনার নাম উল্লেখ নেই। প্রমাণ কোথায় ওনার বিরুদ্ধে।
আইনজীবী আরও বলেন, “ছেলেকে ডাকা হয়েছিল কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কিছুই পাওয়া যায়নি। বার বার অভিযোগ তোলা হয়েছে সহযোগিতা করা হয়নি। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে ২০১৪ সালে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি তাঁর সংস্থার জন্য এই ২.৬৪ কোটি টাকা সব চেক পেমেন্ট। যদি চুরির পয়সা হবে তাহলে চেক পেমেন্ট হবে? কাজটা এখনও হয়নি। তাই এখনও ব্যাংকে আছে। মানিকবাবুর একটা বিরাট জয়েন্ট ফ্যামিলি রয়েছে। সবার সম্পত্তি রয়েছে। ১০ তারিখ রাতে হঠাৎ মনে হল অসহযোগিতা? বিচারকও জানিয়েছেন তিনি, কোনও সিডি পাননি মানিক ভট্টাচার্য বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের অসহযোগিতা সংক্রান্ত।