কেরলকে হারিয়ে জাতীয় গেমস ফুটবলে চ‍্যাম্পিয়ন বাংলা

হ্যাটট্রিক করে ফাইনালের নায়ক নরহরি শ্রেষ্ঠা। বাকি দু’টি গোল করেন রবি হাঁসদা এবং অমিত চক্রবর্তী।

জাতীয় গেমস ফুটবলে ‘সোনার’ বাংলা। সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে কেরলের কাছে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দল। মঙ্গলবার আমেহদাবাদে ফাইনালে সন্তোষজয়ী কেরলকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে সোনা জিতল বাংলা। এই নিয়ে তৃতীয়বার জাতীয় গেমস ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলা। হ্যাটট্রিক করে ফাইনালের নায়ক নরহরি শ্রেষ্ঠা। বাকি দু’টি গোল করেন রবি হাঁসদা এবং অমিত চক্রবর্তী। কয়েকটা সুযোগ নষ্ট না হলে আরও বড় লজ্জার সামনে পড়তে পারত আইএম বিজয়নদের রাজ্য। সন্তোষ ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় এবার কেরলকে সামনে পেয়ে বাড়তি তাগিদ অনুভব করছিলেন বাংলার ছেলেরা। যদিও সন্তোষের দলের মাত্র দু’জন ফুটবলার ছিলেন এই বাংলা দলে। তবু প্রতিশোধ এবং সোনার পদক—দুই লক্ষ্যেই সফল বাংলা।

প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে যায় বঙ্গ ব্রিগেড। যার মধ্যে জোড়া গোল নরহরির। একটি গোল রবির। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অনবদ্য গোলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন নরহরি। খেলার শেষ লগ্নে দলের পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেন অমিত। জয়ের পর মাঠেই উৎসবে মাতেন বাংলার ছেলেরা। কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রস্তুতির জন্য দল গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাইনি। তবু ছেলেদের উপর আস্থা রেখেছিলাম। ওরা সেই ভরসার মর্যাদা দিয়েছে। এই সাফল্য শুধুই ফুটবলারদের। ওরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।’’ সন্তোষে বাংলার কোচ থাকা রঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘অবশেষে শান্তি পেলাম। দু’টি দল অনেক আলাদা। তবু যে কোনও ফাইনালে পাঁচ গোলে জয় সহজ ব্যাপার নয়। সেবার ফাইনাল হারের ক্ষতে প্রলেপ তো লাগলই।’’

আরও পড়ুন:আগামিকাল ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ এফসি গোয়া, দ্বিতীয় ম‍্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লাল-হলুদ ব্রিগেড

Previous articleNabanna: পুজো শেষ হতেই অনুদানের হিসেব চাইল নবান্ন
Next articleManik Bhattacharya: ১৪ দিনের ইডি হেফাজত মানিক ভট্টাচার্যের