ভারতে জেল খাটার আতঙ্কে অসুস্থ নীরব! লন্ডনের জেলে বসেই উদ্বেগের সুর পলাতক ব্যবসায়ীর গলায়

তাঁকে দেশে ফেরাতে চেষ্টার কসুর করছে না ভারত সরকার (Government of India)। লন্ডনের জেলে বসেই তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানালেন পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত (Main Accused)।

ভারতে ফেরানো হলে হয় তিনি আত্ম*হত্যা করবেন নয়ত তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে! ভারতে ফিরলে তাঁর মৃত্যু যে নিশ্চিত এমনই দাবি করেছেন পলাতক হিরে ব্যবসায়ী (Diamond Merchant) নীরব মোদি (Nirav Modi)। ভারতে প্রত্যর্পণের (Extradition) ক্ষেত্রে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (Punjab National Bank) ১৩ হাজার কোটি টাকা আর্থিক কেলেঙ্কারি (Financial Fraud) মামলায় অভিযুক্ত পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির আত্মহত্যার ঝুঁকির মাত্রা ঠিক কতটা? তা বোঝার জন্য লন্ডনের হাইকোর্ট (London High Court) দুই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের (Psychiatrist) যুক্তি শুনেছে। এদিকে তাঁকে দেশে ফেরাতে চেষ্টার কসুর করছে না ভারত সরকার (Government of India)। লন্ডনের জেলে বসেই তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানালেন পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত (Main Accused)।

আপাতত ইংল্যান্ডের অন্যতম বড় জেল, লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থে (HMP Wansworth) রয়েছেন নীরব। সেখানে গিয়েই তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন মনোবিদ অ্যান্ড্র্রু ফরেস্টার। এরপর তিনি লন্ডন হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের ১২ নম্বর ব্যারাক থেকে সেই সমস্ত জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে যা ব্যবহার করে আত্মঘাতী হতে পারেন কেউ। কিন্তু তবুও ভয় পিছু ছাড়ছে না নীরবের। তিনি মনে করছেন, পরিস্থিতি যাই হোক, জেলেই মৃত্যু হবে তাঁর। তবুও তিনি কোনওমতেই ভারতে ফিরবেন না। তবে অ্যান্ড্রু আদালতকে জানিয়েছেন, নীরব কেবলই ভয় পাচ্ছেন। মনোবিদের আরও দাবি, নীরব এতই অসুস্থ (Critically Ill) হয়ে পড়ছেন যে তাঁকে ২বার হাসপাতালে (Hospitalized) পর্যন্ত ভর্তি করতে হয়েছে। চারবার তাঁর উপর বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হয়েছে যাতে তিনি আত্ম*হত্যা করার চেষ্টা না করেন। নিজেকে নিয়ে নীরব চরম হতাশাগ্রস্ত (Depressed) হয়ে পড়েছেন বলেও আদালতকে জানিয়েছেন তাঁর মনোবিদ।

যদিও মোদি সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নীরবকে ভারতে ফেরানো হলেও তাঁর সঙ্গে সেলে একজন মনোবিদ থাকবেন। পাশাপাশি, হিরে ব্যবসায়ী যাতে সপ্তাহে একদিন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, জেলে সেই ব্যবস্থাও করা হবে। এদিকে এখনও পর্যন্ত নীরবের ২হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত (Seized) করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। মাস দুয়েক আগেই হংকং থেকে তাঁর প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার সম্পত্তির দখল নিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কয়েক বছর আগে ভারতীয় হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদিকে বিপুল অর্থ ঋণ দিয়েছিল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। পরে জানা যায় নীরব ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে ওই ঋণ নিয়েছিলেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার (Arrest) হন তিনি। তারপর থেকেই তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সচেষ্ট হয় ভারত।

 

Previous articleগ্রেফতারি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও লাভ হলো না, ইডি হেফাজতেই থাকতে হবে মানিককে
Next articleসুপার সাইক্লোনের প্রহর গুনছে বাংলা,বিভিন্ন রাজ্যে জারি অতি বৃষ্টির সতর্কতা!