Saturday, November 22, 2025

স্বস্তিকার পর ইমন-মমতার ফ্রেম নিয়েও কটাক্ষ, পাল্টা দিলেন গায়িকাও

Date:

Share post:

পুজো কার্নিভালে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের পর এবার বিজয়া সম্মিলনীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর ছবি নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে চর্চা। আর বৃহস্পতিবার সকাল হতেই কড়া জবাব দিলেন গায়িকা।

আরও পড়ুনঃ“চকলেট নিয়েছি, ইলেকশন টিকিট নয়”! শ্রীলেখাকে কড়া জবাব স্বস্তিকার

ইকো পার্কে বুধবার রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রিত ছিলেন  শিল্পপতি,আমলা, শিল্পী সহ সমাজের নানান ক্ষেত্রের কৃতীরা। ইকো পার্কের ওই অনুষ্ঠানে অনান্যদের মতো উপস্থিত ছিলেন গায়িকা ইমনও। তার আগে পুজোয় অনুষ্ঠান করতে বিদেশে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বিজয়া সম্মিলনীতে অংশ নেন ইমন। সোশ্যাল মিডিয়ায়  এক ফ্রেমে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন গায়িকা। আর সেই ছবি নিয়েই ট্রোলড হন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই নেটিজেনদের কড়া জবাব দেন ইমন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে ইমন লিখেছেন,   “সাঙ্ঘাতিক জেট ল্যাগ। ঘুম আসছেনা। ফেসবুকে একটা জিনিস দেখে খুব অবাক হচ্ছি, যে কিছু মানুষ শুধু খারাপ বলতে জানেন। কেউ সোজা হাঁটলে বলবেন বেকা যান, বেঁকা গেলে তো কথাই নেই। ভাল-মন্দ, গানবাজনা, খেলাধূলা,রাজনীতি, চাঁদে কী হচ্ছে, সমুদ্রের নীচে কী হচ্ছে, শাড়ী কেন পরলেন না, বরের সঙ্গে হেসে কেন ছবি দিলেন, এর সাথে কেন ছবি তুললেন, ওঁনার সাথে কেন তুললেন না, আজ কে কেন নিরামিষ খেলেন, পাঁঠার মাংস খেলেন? ? প্রাণীহত্যা মহাপাপ…আরও কত কিছু, আরও সব কিছু…। কেন??? আপনারা যাঁরা এইটা করলেন বা ভাবেন, তাঁরা এই সব মেনে নিয়ে জীবন কাটাতে পারতেন? আপনার আমার সবার।”

দীর্ঘ পোস্টটিতে গায়িকা আরও লেখেন, প্রত্যেকের ব্যক্তিগত পরিসর রয়েছে। স্বাধীনতা রয়েছে। যাঁরা এটা করেন তাঁরা এতসব যদি, কিন্তু, কেন নিয়ে জীবন কাটাতে পারবেন? ইমন তাঁর পোস্টে বোঝাতে লিখেছেন, এসব সয়ে সয়ে তিনি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। শেষ নিন্দুকদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, ‘পারলে যোগা করুন।’

আর এই পোস্টটি করে ইমন চক্রবর্তী নেটিজেনদের বুঝিয়ে দিলেন, রাজ্য সরকারের বিজয়ী সম্মিলনী কোনও দলীয় মঞ্চ নয়। একজন গায়িকা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। যে বা যাঁরা এই বিষয়টিকে নিয়ে চর্চা করছেন, তাঁদের কোনও কাজ নেই বলেই এসব করছেন। এতে তিনি বিরক্তি বোধ করলেও হতাশ নন। আজকাল এসবে তিনি ধাতস্ত হয়ে গিয়েছেন।

spot_img

Related articles

ট্রাম্প কী ফ্যাসিস্ট? ট্রাম্পের সামনেই উত্তর দিয়ে ফেললেন মামদানি!

মামদানি ক্ষমতায় এলে সম্পূর্ণ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়া শহরে বাস করতে হবে। নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়া...

SIR-এ কাজের চাপ: এবার আত্মহত্যায় বাধ্য হলেন মোদির রাজ্যের BLO!

বাংলায় বারবার ইনিউমারেশন ফর্ম বিলি থেকে ডিজিটাইজেশনের কাজ নিয়ে চাপের অভিযোগ করেছেন বুথ লেভেল অফিসাররা। আত্মহত্যার উদাহরণও রয়েছে...

শহর থেকে জেলা, একাধিক জেলায় আগুনে পুড়ে ছাই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান

শুক্রবার রাতে রাজ্যের একাধিক জেলায় আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ালো। সবথেকে বড় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে...

নির্বাচন কমিশনের প্রবল চাপ: রাজ্যের ফের আত্মঘাতী মহিলা বিএলও

রাজ্যে ফের আত্মঘাতী বিএলও। আবার দায়ী নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার নতুন করে বিএলও-দের ডিজিটাইজেশনের কাজ করার সময়সীমা কমিয়ে দেওয়ার...