বউবাজারে ফের ফাটল, মেট্রো কর্তৃপক্ষকে তুলোধনা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের

বারেবারে এমন ঘটনায় মেট্রো কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

ফের মেট্রো রেলের কাজের জন্য বউবাজারে বিপত্তি। দুর্গাপিটুরি লেনের পর এবার মদন দত্ত লেনের অন্তত ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষ। বারেবারে এমন ঘটনায় মেট্রো কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

তিনি বলেন, “যতক্ষণ না পর্যন্ত রেলবোর্ডের শীর্ষস্থান থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে। কারণ, এখানে যারা কাজ করছেন বা যারা কাজের বরাত নিয়েছেন, তারা কেউই বিষয়টা সামলে উঠতে পারছেন না। আমি অবশ্য ইঞ্জিনিয়ার নই। কিন্তু দীর্ঘদিন কাউন্সিলর থাকার সুবাদে আমার মনে হচ্ছে যে জায়গায় মেশিন আটকে গিয়েছিল ওখানেই ওয়াটার পকেট তৈরি হয়েছে। সেই ওয়াটার পকেট থেকে জল রিভার্সে যাওয়ার জন্যই মাটি ধুয়ে কাদায় পরিণত হচ্ছে। আর তার ফলেই এই বিপত্তি ঘটছে। এইরকম ভাবে চলতে থাকলে দু’দিন অন্তরই এলাকার বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দেবে।”

এরপরই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে মেয়র বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্তদেরকে অন্যত্র সরাবো। তাদের থাকা-খাওয়ার খাবারের বন্দোবস্ত করবো। কিন্তু নতুন করে এই একই সমস্যা দেখা দেবে। আমি বসে আছি বৈঠক করবার জন্য। কিন্তু রেলের শীর্ষস্তর থেকে এই বিষয়টা নিয়ে একটা বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।”

ফিরহাদ হাকিম জানান, রেলকে যথাযথ সিদ্ধান্তও নিতে হবে। প্রয়োজন হলে ওই এলাকার কিছু বাড়ি ভেঙে একেবারে নিচ থেকে পাইলিং করে সেখানে বিল্ডিং তুলতে হবে। যার যত স্কোয়্যার ফিট সেটা দিতে হবে। দরকার হলে মেন রাস্তা থেকে এফএআর বা ফ্লোর এরিয়া রেশিও করতে হবে। বর্তমানে এখানে মেট্রো কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার নেই। ফলত রেলবোর্ডকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সবশেষে মেয়র জানান, আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদেরকে এবং মাটি বিশেষজ্ঞদেরকে ডাকা হয়েছিল। প্রয়োজনে ফেলে ডাকা হবে।

 

Previous article‘ বুকে পা তুলে দেব ‘ , ফের বেলাগাম দিলীপ
Next articleবউবাজারে বন্ধ হল মেট্রোর কাজ, ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত