Wednesday, July 2, 2025

মাও*বাদী যোগের অভিযোগে যাবজ্জীবন! বোম্বে হাইকোর্টে বেকসুর খালাস প্রাক্তন অধ্যাপক সাইবাবা

Date:

Share post:

অবশেষে বেকসুর খালাস পেলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) প্রাক্তন অধ্যাপক (Former Professor) জি এন সাইবাবা (G N Saibaba)। মাও*বাদী (Maoist) যোগ সন্দেহে ২০১৭ সালে মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি জেলা দায়রা আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবনের (Lifetime Imprisonment) সাজা ঘোষণা করে। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বোম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) দ্বারস্থ হন প্রাক্তন অধ্যাপক। শুক্রবার বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিত দেও এবং অনিল পানসারের ডিভিশন বেঞ্চ সাইবাবার আর্জি মঞ্জুর করে। তারপরই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপককে দ্রুত মুক্তির (Release) নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বর্তমানে নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে (Nagpur Central Jail) বন্দি রয়েছেন তিনি। তবে শুধু সাইবাবাই নয়, এদিন তাঁর সঙ্গে আরও ৫ আবেদনকারীকেও বেকসুর খালাস করেছে উচ্চ আদালত।

এদিন সাজাপ্রাপ্তদের বেকসুর খালাস করে বোম্বে হাইকোর্ট সাফ জানিয়েছেন, যদি না তাঁরা অন্য কোনও মামলায় অভিযুক্ত থাকেন তাহলে তাঁদের যেন অবিলম্বে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। জি এন সাইবাবা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন। তার আগে তিনি রামলাল আনন্দ কলেজে পড়াতেন। এরপর ২০১৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মাও*বাদী যোগের অভিযোগ ওঠে এবং তাঁকে মহারাষ্ট্র পুলিশ (Maharshtra Police) গ্রেফতার (Arrests) করে। তারপর থেকে তাঁর পরিবার সাইবাবার বেতনের অর্ধেক টাকা পেতেন।

কিন্তু মাও*বাদী যোগের কারণে গতবছর কলেজের অধ্যক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত (Sacked) করে দেন। ২০১৭ সালের মার্চে মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি জেলা দায়রা আদালত তাঁকে, এক সাংবাদিককে এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মাওবাদী যোগ এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপে মদতের অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) এবং ইউএপিএ –র (UPA) আওতায় একাধিক মামলা দায়ের হয়। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সাইবাবাকে হুইল চেয়ারের উপর নির্ভর করতে হয়।

এদিকে সাইবাবার স্ত্রী বসন্ত কুমারী (Basant Kumari) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধৃত অধ্যাপক একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী৷ ৭ বছর ধরে তাঁকে বিনা কারণে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থার (Health Condition) চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে। বসন্ত কুমারী আরও জানান, আদালতের রায়ের পর তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব সাইবাবাকে জেল থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছেন।

 

spot_img

Related articles

মুখ দেখলেই মিলবে খাবার! অঙ্গনওয়াড়িতে বাধ্যতামূলক ফেস রেকগনিশন পদ্ধতি 

রাজ্যের সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এবার মুখ দেখে মিলবে খাবার। আগামী ১ জুলাই থেকে চালু হচ্ছে ‘ফেস রেকগনিশন সিস্টেম’।...

উল্টোরথ-শ্রাবণী মেলা-মহরম: কড়া নজরদারিতে প্রস্তুতির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উল্টোরথ, শ্রাবণী মেলা ও মহরম— এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পালনে বুধবার নবান্নে (Nabanna) উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন...

বৃদ্ধ দম্পতি খুনে ফাঁসির আদেশ শিয়ালদহ কোর্টের

চিৎপুরে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ (rarest of the rare) আখ্যা দিয়ে অভিযুক্ত সঞ্জয়...

লজ্জা! লাগামছাড়া ধর্ষণ বিজেপিশাসিত রাজ্যেই

আয়নায় নিজেদের মুখটা দেখুন। তারপর বাংলাকে জ্ঞান দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখাবেন। বিজেপির মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দিয়ে মোক্ষম জবাব দিল...