Wednesday, August 27, 2025

চরম দারিদ্র্যতা সত্ত্বেও হার না মানা মনোভাব! কমলের পিওন থেকে প্রফেসরের গল্পে মুগ্ধ দেশবাসী

Date:

কথায় আছে কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। হ্যাঁ, বাস্তবে এমনই নজির গড়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এলেন বছর বিয়াল্লিশের কমল কিশোর মণ্ডল (Kamal Kishore Mondal)। ২২ বছর বয়স থেকেই সংসারে অভাবের তাড়নায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পিওনের (Peon Jobs) চাকরি করেছেন কমল কিশোর। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে (Political Science) স্নাতক (Graduate) হলেও কেরিয়ার (Career) শুরু করেছিলেন একজন নাইট গার্ড (Night Guard) হিসেবেই। আপাতত তিনি আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মত নন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে এমএ (MA), পিএইচডি-র (PHD) মতো একাধিক ডিগ্রি। গত চার বছর ধরে গবেষণা (Research) শেষ করে, নেট পরীক্ষায় সফল হয়েছেন কমল কিশোর। অবশেষে পুরনো কর্মক্ষেত্রে তিনি ফিরে এসেছেন অধ্যাপক হয়ে।

বিহারের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের (Assistant Professor) দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। অথচ তিনিই কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একের পর এক টেবিলে চা-জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন। আর বর্তমানে সেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। তবে কমল কিশোরের এই সফর খুব একটা মসৃণ ছিল না। পদে পদে ছিল চরম দারিদ্রতা (Poverty) আর হতাশা (Disappointment)। কিন্তু সবকিছুকে দাঁতে দাঁত চেপে উপেক্ষা করে নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন তিনি। পারিারিক অনটনের (Family Troubles) কারণেই স্নাতক পড়াশোনা ছেড়ে কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। বাবার চায়ের দোকানের দায়িত্ব নেন তিনি। আর সারাদিন দোকান সামলে রাতে নাইট গার্ডের (Night Guard) কাজ করতেন। এরপরই তিলকা মাঝি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Tilka Majhi Bhagalpur University) পিওনের চাকরির প্রস্তাব আসে কমলের কাছে। চাকরির সুযোগ পেয়ে আর দেরি করেননি। দ্রুত চাকরিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু মন পড়েছিল সেই বইয়ের পাতাতেই। পড়াশোনাই ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানজ্ঞান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এমএ (MA) পড়া শুরু করেন কমল। এমএ-র পাঠ চুকিয়ে শুরু করেন পিএইচডি (PHD)। ২০১৩ সালে পিএইচডির পড়াশোনা শুরু করেন। ২০২০ সালে আচমকাই একটা সুযোগ চলে আসে। বিহার স্টেট ইউনিভার্সিটি (Bihar State University) বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় তারা তিলকা মাঝি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চারটি শূন্য পদে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ করবে। আর পুরনো কর্মক্ষেত্র যেখানে পিওন হিসেবে কাজ করেছেন, সেখানে অধ্যাপক হয়ে ফেরা যাবে এমন ভাবনা মাথায় আসতেই চাকরির আবেদন করেন তিনি।

সম্প্রতি ফলপ্রকাশের পর কমল কিশোর জানতে পারেন তিনি যে বিভাগে পিওনের চাকরি করতেন সেখানেই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন। অবশেষে স্বপ্নপূরণ কমলের। কমল কিশোর জানিয়েছেন, কষ্ট করতে হয়নি তা নয়। কিন্তু আমি আমার দারিদ্রতাকে আমার বিদ্যার্জনের পথে বাধা হতে দিইনি। সকালে ক্লাস করে দুপুরে কাজ করতাম। রাতে বাড়ি ফিরে চলত পড়াশোনা।

 

Related articles

গুরুবারে TMCP-র প্রতিষ্ঠাদিবসে মেগা ছাত্র সমাবেশ, নির্দেশিকা দেবেন মমতা, বলবেন অভিষেকও

গুরুবারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস। মেগা ছাত্র সমাবেশ মেয়ো রোডে। ২৮ অগাস্টকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শহরে...

তিনিই নিয়োগ করেছিলেন, এবার গৌড়বঙ্গের উপাচার্যকে সরালেন রাজ্যপালই

রাজ্যের তালিকা অগ্রাহ্য করে বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপর কার্যত এক নায়কতন্ত্র চালানোয় অভিযুক্ত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C...

ভারতে বসছে দাবা বিশ্বকাপের আসর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

চলতি বছরে ভারতে বসছে দাবা বিশ্বকাপের আসর। ২০০২ সালের পর আবারও দাবা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে ভারত। ২৩...

একসঙ্গে গণেশ পুজোয়! সুনিতা বললেন ‘আমার গোবিন্দা শুধুই আমার’

বিচ্ছেদের যাবতীয় গুঞ্জন উড়িয়ে এক সঙ্গে গোবিন্দা-সুনিতা (Govinda-Sunita)। বুধবার বাড়ির গণেশ পুজোয় (Ganesh festival) ভেস্তে দিলেন নিন্দুকদের সব...
Exit mobile version