মর্মান্তিক! পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ায় চরম হেনস্থা শিক্ষকের, গায়ে আগুন ছাত্রীর

পরীক্ষার হলে নকল করার অভিযোগ। আর যার খেসারত দিতে আত্মহ*ত্যার পথ বেছে নিল এক পড়ুয়া। সম্প্রতি এমন ঘটনায় সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) জামশেদপুরের (Jamshedpur) সীতারামদেব ছায়ানগরের সারদামণি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী বর্তমানে টাটা মেন হাসপাতালে (Tata Main Hospital) চিকিৎসাধীন।

অভিযোগ, পরীক্ষায় টুকলি করার সন্দেহে শুক্রবার স্কুলেরই শিক্ষক চন্দ্র দাস এক ছাত্রীর পোশাক খুলে পরীক্ষা করেন। ঘটনায় নাবালিকা ছাত্রী এতটাই মানসিক আঘাত (Mental Trauma) পায় যে বাড়ি ফেরার পরই সে গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরই জ্বলন্ত অবস্থায় সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয়রা ওই নাবালিকার গায়ে জল ঢেলে আগুন নেভায়। পরে এলাকাবাসীরাই তাকে এমজিএম হাসপাতালে (MGM Hospital) ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছাত্রীর দেহের প্রায় ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তবে পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে টাটা মেন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে অগ্নিদ্বগ্ধ ছাত্রীর প্রাথমিক বয়ান সংগ্রহ করেছে। নাবালিকা তার বয়ানে জানায়, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টার্মিনাল পরীক্ষায় (Terminal Examination) বিজ্ঞানের (Science) পরীক্ষা দিতে স্কুলে গিয়েছিলাম। বিকেল ৪ টে নাগাদ শিক্ষক চন্দ্র দাস আমাকে নকল করার অভিযোগে ধরেন। এরপর সবার সামনেই আমাকে চড় (Slap) মারেন। সবার সামনে আমাকে পোশাক খুলতে বাধ্য করেন। পোশাকের মধ্যে কোনও কাগজপত্র নেই একথা জানানোর পরও তিনি কোনও কথাই শোনেননি। এরপর সেখান থেকে আমাকে প্রিন্সিপ্যালের (Principal) ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় আমি এতটাই অপমানিত বোধ করি যে বাড়ি ফিরে গায়ে আগুন দিয়েছি।

ঘটনার পর শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গুরুতর আহত ছাত্রীটির পরিবার। অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, আমি ওই ছাত্রীকে মারিনি, তাকে পোশাক খুলতেও বাধ্য করিনি। সে নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর অন্য ছাত্রীরা জানায়, ওই ছাত্রীর পোশাকের ভিতরে টুকলির কাগজ রয়েছে। আমি তাকে প্রিন্সিপালের ঘরে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর ছুটি শেষে বাড়িতে চলে যায় সে।

তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার (Arrest) করেনি পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। কিন্তু শুক্রবারের ঘটনার জেরে শনিবার বন্ধ স্কুল। পরীক্ষাও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত (Investigation) শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে কুণালের সভাকে ভয়, শুভেন্দুর নির্দেশে তৃণমূলের উপর হামলা বিজেপির গুন্ডাদের

 

Previous articleনন্দীগ্রামে কুণালের সভাকে ভয়, শুভেন্দুর নির্দেশে তৃণমূলের উপর হামলা বিজেপির গুন্ডাদের
Next article‘চাই ভোটাধিকার’, পার্টি কংগ্রেসের আগে জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ পোস্টার চিনে