মধ্যযুগীয় বর্বরতা! পাথর ছুঁড়ে মারার নিদান তালিবানের, ভয়ে আত্মহ*ত্যা আফগান তরুণীর

যে বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে তরুণীর সম্পর্ক ছিল, ইতিমধ্যেই তাঁকে মৃ*ত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে তালিবান প্রশাসন (Taliban Admistration)। গত বৃহস্পতিবারই সেই সাজা কার্যকর হয়।

 

মধ্যযুগীয় শাস্তির আঁচ আফগানিস্তানে (Afghanistan)। বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। আর তার পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা হয়তো ঠাওর করতে পারেননি তরুণী। আর সেকারণেই চরম শাস্তির আগে আত্মহ*ত্যার পথ বেছে নিলেন এক আফগান তরুণী (Afghan Women)। সম্প্রতি বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালানোর অভিযোগে ওই তরুণীকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলার নিদান দেয় এক তালিবান বিচারক। শুক্রবারই সেই শাস্তি পাওয়ার দিন ছিল। কিন্তু তার আগেই নিজের ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তরুণী।

এছাড়া যে বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে তরুণীর সম্পর্ক ছিল, ইতিমধ্যেই তাঁকে মৃ*ত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে তালিবান প্রশাসন (Taliban Admistration)। গত বৃহস্পতিবারই সেই সাজা কার্যকর হয়। আর এমন ভয়ঙ্কর সাজার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠছে বিশ্ববাসী। ঘটনায় সেদেশের মহিলাদের বর্তমান অবস্থা (Present Condition) নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠছে। এদিকে মধ্যযুগীয় ভয়ঙ্কর শাস্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তালিবান পুলিশ (Taliban Police) প্রধান সাফ জানিয়েছেন, মহিলা জেলের (Woman Jail) সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকার কারণেই আফগান মেয়েদের পাথর ছুঁড়ে বা বেতের আঘাতের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। আর সেইকারণেই আফগানিস্তানের মহিলাদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালানোর প্রবণতা বাড়ছে। ঠিক যেমনটা করেছিলেন বাধ্য হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া তরুণী।

তবে মহিলাদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্তের পিছনে দায়ী একমাত্র তালিব প্রশাসন, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। সেদেশের মেয়েদের উপর একের পর এক কঠোর সামাজিক নিষেধাজ্ঞা (Social Taboos) আরোপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কেঁড়ে নেওয়া হচ্ছে তাঁদের লেখাপড়ার অধিকারও (Right to Education)। বেশকিছু প্রদেশে মেয়েদের বয়স ৬ বছরের বেশি হলে তাদের স্কুলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। এছাড়া নিজেদের কর্মক্ষেত্রেও (Workplace) বঞ্চিত হচ্ছেন মহিলারা।

Previous articleসল্টলেকে ২০১৪’র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা
Next articleচিনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনে গালওয়ানের ভারতীয় সেনার হত্যার ভিডিয়ো প্রদর্শন, উদ্দেশ্য কী ?