ধর্নায় না বসে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না কেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা? প্রশ্ন ব্রাত্যর

আন্দোলনে বা ধর্নায় না বসে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না কেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা? প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি স্পষ্ট জানান, চাকরিপ্রার্থীদের দাবি আদৌ আইনসম্মত নয়। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে বুধবারও সল্টলেকের (Salt Lake) করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে থেকে নড়েননি প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীরা। অনশনও শুরু করেছেন অনেকে। এ ব্যাপারেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

এদিকে আন্দোলনকারীদের ধর্না তুলতে এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আন্দোলনের ফলে কর্মীরা অফিসে ঢুকতে পারছেন না বলে আদালতে জানানো হয়। কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় আদালতের। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যখন স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, ১১ ডিসেম্বর টেট-কে কেন্দ্র করে একটা উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে তখন এই ধরণের আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা নেই। স্বশাসিত পর্ষদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপরে পূর্ণ আস্থার কথাও জানিয়ে দেন তিনি।

চাকরির বয়সের ক্ষেত্রেও যে কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনেই চলতে হবে পর্ষদকে তাও স্পষ্ট করে দেন শিক্ষামন্ত্রী। সেইসঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দিলেন, প্যানেলে নাম থাকাটাই শেষ কথা নয়। জয়েন্ট এন্ট্রান্স, নেট-সেট, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। জয়েন্ট এন্ট্রান্সে মেরিট লিস্টে নাম থাকা মানেই ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পাওয়া নয়। তেমনই প্যানেলে নাম থাকা মানেই অধ্যাপনার চাকরি পাওয়া নয়। প্রাথমিকে আন্দোলনকারীদের এই দাবি কোন যুক্তিতে? প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দ্রুত শুনানির আর্জি অবশ্য এদিন মান্যতা পায়নি আদালতে।

আরও পড়ুন- স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নয়নের জের! মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে জয়ী Slab G

 

Previous articleস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নয়নের জের! মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে জয়ী Slab G
Next article‘জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে কটু কথার প্রতিযোগিতা চলছে’, বিধানসভায় ক্ষোভ প্রকাশ বিমানের